আগামীকালও চলবে দুর্যোগ, ‘যশ’-এর দাপটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এইসব জেলায়

ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে

Advertisement

Advertisement

জলভাগ ছেড়ে এবারে স্থলভাগ ধরে এগোতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। পূর্বাভাস যা ছিল তার থেকে অনেকটা আগেই এই ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডফল করেছিল। উড়িষ্যায় সেই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল বটে। কিন্তু, ল্যান্ডফলের পালা শেষ হতে না হতেই নতুন অশনি সংকেত। এবারে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় সরাসরি এগোতে শুরু করেছে উড়িষ্যায়, তাও আবার সোজা স্থলভাগ বরাবর। নতুন করে ঝড় শুরু হয়েছে উড়িষ্যার বালেশ্বরে। এই যশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবারও নতুন করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বিস্তীর্ণ এলাকায়। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে উড়িষ্যার স্থলভাগ দিয়ে সরাসরি এগোচ্ছে যশ। আর এই যশের দাপটে আজ রাত পর্যন্ত তুমুল ঝড় বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে উড়িষ্যার বেশ কিছু জায়গায়।

Advertisement

সকালে নিজের সর্বাধিক গতিবেগ নিয়ে উড়িষ্যার বালেশ্বরে আছড়ে পড়েছিল যশ। উড়িষ্যার বিস্তীর্ণ এলাকা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সমস্ত বাড়িঘর, দোকানপাট সবকিছু একেবারে ভেঙে গেছে। দুপুর নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বাধিক কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে এর গতিবেগ স্তিমিত হতে শুরু করে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করছে যশ। আবারো কি তাহলে ধ্বংসলীলা শুরু করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়?

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন সমুদ্র পেরিয়ে ঝড় স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করে তখন সেই ঘূর্ণিঝড় কিছুটা সমুদ্রবায়ু জমা করে। তারপরে সাইক্লোন যখন স্থলভাগে প্রবেশ করে তখন নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে তেমন নতুন কিছু হচ্ছে না। ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় উড়িষ্যার উপর দিয়ে চলতে শুরু করেছে।

Advertisement

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ রাত পর্যন্ত হাওয়ার গতিবেগ বেশ ভালোই থাকবে। খানিকটা প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও। অন্যদিকে আবার আজকেই রাত্রে ৯টা নাগাদ ভরা কোটালের পূর্বাভাস রয়েছে। একদিকে শক্তি বৃদ্ধি করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ, অন্যদিকে আবার ভরা কোটাল, সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো। বাঁকুড়া, ঝারগ্রাম, পুরুলিয়া সহ বেশ কিছু জেলায় এই ভরা কোটাল এর প্রভাব পড়তে চলেছে। পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্রহণ, ভরা কোটাল, ঘূর্ণিঝড়, সব মিলিয়ে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া দপ্তর সর্তকতা জারি করে দিয়েছে কলকাতা, পশ্চিম এবং পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য।

এই ঘূর্ণিঝড়ের অপর একটি শাখা বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে এগোতে শুরু করায় এবারে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং মালদহতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামীকাল ঝাড়খন্ড এবং বিহারের একাংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকটি জায়গা জলমগ্ন হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।