সৌন্দর্য

গরমের দিনে এই জিনিস খাওয়া শুরু করুন, ত্বক উজ্জ্বল হবে

Advertisement

Advertisement

গ্রীষ্ম কালে আমাদের শরীরের কিছু ঠান্ডা খাবার প্রয়োজনীয়। গরমে স্যালাড খাওয়া খুবই ভালো কারণ এটা ঠান্ডা সাগ সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় যেমন শসা। এই খবরে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শসা খাওয়ার উপকারিতা। শসা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার পাশাপাশি এতে রয়েছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষ বিষয় হল শসা ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। এই সমস্ত পুষ্টিগুণ ত্বকের অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

Advertisement

ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “শসার মধ্যে পাওয়া পুষ্টিগুণ গ্রীষ্মের তাপ এবং ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য এবং ভিটামিন-সি, ফলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান, যা শরীরের জন্যে অনেক উপকারী। গ্রীষ্মের মৌসুমে প্যাক আকারে ত্বককে সুস্থ রাখতে শসা ব্যবহার করা হয়, তবে আপনি এটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে রোদে ট্যান, শুষ্ক ত্বক ইত্যাদি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারেন। কিভাবে শসা খেতে হয়, আমরা আগেই বলেছি গ্রীষ্মের মৌসুমে স্যালাডে শসা খেতে পারেন। এছাড়া এটি রাইতাতে ও জলখাবার সাথেই খেতে পারেন।

Advertisement

শসা খেলে ত্বকের কিছু কিছু সমস্যা প্রতিরোধ হয়। শসা শরীরে জলের অভাব পূরণ করে। এছাড়াও ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়। সকলেই জানেন যে মুখের ব্রণ কেবল আপনার সৌন্দর্যই নষ্ট করে না, তবে এটি অনেক সময় খুব ঝামেলার কারণও হতে পারে। খাদ্যতালিকায় শসা অন্তর্ভুক্ত করে আপনি ব্রণ, বলিরেখা এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Advertisement

বলিরেখা উপশম করতে শসার ভূমিকা:
শসার মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বলিরেখা দূর করতে সহায়ক। ভিটামিন-সি এবং ফলিক অ্যাসিড থাকে শসায়, যা ত্বককে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

শুষ্ক ত্বক থেকে ত্রাণে শসার ভূমিকা:
শসার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জল পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে এমন অনেক গুণ পাওয়া যায়, যা শরীর ও ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে।

কিভাবে মুখে শসা লাগাবেন আপনি জেনে নিন —
১) প্রথম উপায়:
অর্ধেক শসা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
এবার এটিকে ছেঁকে নিন এবং এর থেকে রস বের করুন। মুখ ধোয়ার পর মুখে শসার রস লাগান। 15 মিনিটের জন্য এটি ছেড়ে দিন। এরপর ঠাণ্ডা বা হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখবে।

২) দ্বিতীয় উপায়:
প্রথমে অর্ধেক শসা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটিকে ছেঁকে নিন এবং এর থেকে রস বের করুন। এতে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল দিন এবং মিশ্রণটি তৈরি করুন। এই মাস্ক দিয়ে হালকা হাতে মুখ ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার পর মুখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস মাস্কটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হবে।

এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।

Recent Posts