সিদ্দিকুল্লার সভাতে আটকে গেলো ভ্যাকসিনের গাড়ি, টুইটারে খোঁচা কৈলাসের

কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailas Vijayvargiya) বলেছেন, ' যদি কোনভাবে বহুমূল্য ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যেত, তাহলে তার দায় কে নিতো? লজ্জা হওয়া দরকার।'

Advertisement

Advertisement

রাস্তা অবরোধের কারণে গলসিতে আটকে গেল করোনা ভ্যাকসিন এর কনভয়। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্ত যাচ্ছিল সেই কনভয়। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে হঠাৎ করেই গলসিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের অবরোধের জেরে আটকে পড়েছিল ওই কনভয়। রাজের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddikulla Chowdhury) কৃষি আইনের প্রতিবাদে ঐদিন মিছিল রেখেছিলেন সেই এলাকায়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সাফাই, তিনি ভ্যাকসিনের ভ্যান আটকে যাওয়া নিয়ে কিছুই জানতেন না। ভ্যাকসিনের গাড়ি আসবে সেই ব্যাপারে তাকে অবগত করা হয়নি।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকে বর্ধমান এসে সেখান থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল সেই গাড়ি। কিন্তু হঠাৎ গলসি গলিগ্রাম এর কাছে অবরোধের জেরে আটকে গিয়েছিল সেই ভ্যাকসিনের গাড়ি। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ গলসি থানায় খবর দেওয়া হয়েছিল। গলসি থানার পুলিশ তথনও দিয়ে ওই গাড়িটিকে ঘুরপথে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে তুলে দিয়েছিল। সেখান থেকে গাড়িটি সোজা দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কোন জমায়াতের ছেড়ে এভাবে ভ্যান আটকে যাওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement

যদিও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, ” এই ভ্যাকসিন যে আসছে সে ব্যাপারে আমাদের অবগত করা উচিত ছিল। অবরোধ চলাকালীন আমি বারবার ঘোষণা করেছি যে কোনো এম্বুলেন্স, ছাত্র, রোগী অথবা কোন মেডিসিনের গাড়ি যদি আসে তবে জায়গা করে দিতে হবে। তবে ওই ভ্যাকসিনের গাড়িটি পিছনদিকে কোথাও একটা আটকে গিয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে অন্য রাস্তা থেকে গাড়িটিকে ঘুরপথে নিয়ে আসে।”

Advertisement

 

আর এই ঘটনা নিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী কে নিশানা করে টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ( Kailas Vijayvargiya)। কৈলাস এদিন লিখেছেন,” সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজনৈতিক ভন্ডামীতে আটকে গেল ভ্যাকসিন। রাস্তা আটকানো তে বদল করা হয়েছে ভ্যাকসিন এর রুট। যদি কোনভাবে বহুমূল্য ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যেত তাহলে তার দায় কে নিতো? লজ্জা হওয়া উচিত।”