করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নাজেহাল গোটা দেশবাসী। প্রায় ২ মাস ধরে প্রতিদিন সংক্রমনের গ্রাফের ঊর্ধ্বমুখী চলন দেখে উদ্বেগে পড়েছিল প্রত্যেক ভারতবাসী। তবে এরমাঝেই চলতি সপ্তাহের শেষ কয়েকদিনে দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণে গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ ৪৫ দিন বাদে ২ লাখের কম হয়েছিল। শেষ কয়েক দিনের ট্রেন্ড বজায় রেখেই আজ অর্থাৎ রবিবার সংক্রমণ আগের তুলনায় আরও কমলো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন। পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুহার। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৬০ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক রবিবার সকালে একটি বুলেটিন প্রকাশ করেছে। সেই বুলেটিন অনুযায়ী, ৩০ মে অর্থাৎ আজ রবিবার অব্দি ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ জন। এই রোগের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৭২ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন। এই পরিসংখ্যান গত ৬ সপ্তাহের দৈনিক সংক্রমনের মধ্যে সবচেয়ে ন্যূনতম। দেশে গত ৩ দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার ৮.১৩ শতাংশ রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সেই হার আরও নিম্নমুখী হয়েছে। এখন আজ করোনা সংক্রমণের হার রয়েছে ৮.০২ শতাংশ।
আসলে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল হয়ে পড়েছিল গোটা ভারতবাসী। তাই ওই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে দেশের একাধিক রাজ্যে লকডাউন বা বিশেষ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। আর সেই সাথে দেশজুড়ে চলছে টিকাকরন প্রক্রিয়া। তার কারণেই হয়তো আসতে আসতে হ্রাস পাচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে সুস্থতার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৯ জন। সুস্থতা হার বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮ জন।