গতকালই ব্রিগেডে বাম কংগ্রেস ও সেকুলার ফ্রন্টের সংগঠনের মধ্যে জোটে জট স্পষ্ট হয়েছিল। আইএসএফ যে মহাজোটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা খুব একটা পছন্দের নয় কংগ্রেসের। এবার ব্রিগেডের পর সেকুলার ফ্রন্ট প্রধান আব্বাস সিদ্দিকীর গলায় কংগ্রেস বিরোধী সুর শোনা গেলো। সে আজ অর্থাৎ সোমবার সবাইকে অবাক করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, “মোদি মমতার সাথে কংগ্রেসের এক নেতা যোগাযোগ রেখেছে। ভোটের পর যদি উঁচু পদ পায় তাহলে তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন।” আব্বাসের এহেন মন্তব্যে রীতিমতো তর্কবিতর্কের ঝড় উঠেছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।
কিছুদিন আগে জোট গঠনের সময় আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রথম কংগ্রেসের সাথে ভাইজানের দলের বিরোধিতা শুরু হয়। কংগ্রেস কোনোভাবেই তাদের আসন আইএসএফ কে ছাড়তে রাজি হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ে বামেদের মধ্যস্থতায় সেই সমস্যার সমাধান হয়। অবশ্য গতকাল ব্রিগেডে আসন বণ্টনের সমস্যা প্রসঙ্গ তুলে অধীররঞ্জনের উপস্থিতিতে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, “তোষণের নয় অংশীদারি রাজনীতি করতে এসেছি।” এছাড়া মঞ্চ থেকে জোট প্রার্থী বামেদের ভোট দেওয়ার কথা তিনি বললেও তার মুখ থেকে একবারের জন্যও কংগ্রেসের নাম শোনা যায়নি। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার কার্যকলাপের মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝিয়েছেন যে ভাইজানকে তিনি মেনে নিতে নারাজ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ভাইজান ওরফে আব্বাস সিদ্দিকী এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি সরাসরি কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, কংগ্রেসের এক নেতা দিদি ও মোদির সাথে যোগাযোগ রাখছে এই কথা আমি জানি। ফল ঘোষণার পর আমি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব। অবশ্য ভাইজানের কথার পাল্টা জবাব দিতে ভোলেনি কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য আব্বাস সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।