Categories: দেশনিউজ

একাধিক কৃষকদের মৃত্যুতেও শিক্ষা হয়নি মোদি-শাহের, কংগ্রেসের নিশানায় বিজেপি

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলন এখনও চলছে দিল্লি সীমানায়। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও কৃষকদের এই প্রত্যয়ের দাম ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ৩৩ জন প্রতিবাদী। কেউ শীতে মারা গিয়েছেন, কেউ আবার আত্মহত্যা করেছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে। এই পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেস ফের তোপ দাগল কেন্দ্রকে। এ বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে কংগ্রেস।

Advertisement

এদিন কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘এখনও কেন মোদী চুপ। কেন আণাদের প্রধানমন্ত্রী কোনও কথা বলছেন না। আমাদের অন্নদাতারা দিল্লি সীমানায় বসে তাদের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। বরং পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে তাঁর প্রচার করার সময় রয়েছে।’

Advertisement

উল্লেখ্য, সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আত্মহত্যা করলেন ২২ বছর বয়সি এক কৃষক৷ রবিবার বিষাক্ত কিছু খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ মৃতের নাম গুরলব সিং৷ তিনি ভাতিন্ডা জেলার দয়ালপুরা মির্জা গ্রামের বাসিন্দা৷ দিল্লির আন্দোলনে অংশ নিয়ে শুক্রবার বাড়ি ফেরেন তিনি৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে রাখা বিষাক্ত কিছু খান তিনি৷ তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি৷

Advertisement

কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে হরিয়ানা ও পাঞ্জাব সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ তাঁদের আন্দোলন দুই সপ্তাহ পার করে গেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এমনকী তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা খারিজ করে দিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কৃষকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্য দিন ঠিক করতে বলল কেন্দ্র৷ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে দ্রুত কৃষক আন্দোলনের অবসান চাইছে সরকার৷ ৪০টি কৃষক সংগঠনকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়াল জানান, কৃষকদের সমস্যার সমাধানে উদার মনোভাবের সঙ্গে আলোচনা চায় সরকার৷ দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের প্রয়োজন৷

এর আগে পাঁচটি বৈঠকে কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কথা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ কারণ কৃষকরা নির্দিষ্ট তিনটি আইন বাতিলের পক্ষে৷ অন্যদিকে সরকার আইন সংশোধনে নমনীয় হলেও নয়া কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব প্রতিবারই বাতিল করে দেয় তারা৷ এই অবস্থায় আজ ২৬ দিনে পড়ল সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন৷