Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

মশার কামড় থেকে মিলবে রক্ষা, কম খরচে অভিনব পোশাক আবিষ্কারে এই ১৬ বছরের কন্যা

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - ২০১৯ সালের গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ৬৭,৩৭৭ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। যার মধ্যে গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে কর্নাটকে পাওয়া গেছিল ১২,৭৫৬জন ডেঙ্গু রোগী। মারণ রোগের…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ২০১৯ সালের গণনা অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ৬৭,৩৭৭ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। যার মধ্যে গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে কর্নাটকে পাওয়া গেছিল ১২,৭৫৬জন ডেঙ্গু রোগী। মারণ রোগের নাম ডেঙ্গু। মশা মারার জন্য অনেকেই ধুপ, মশা মারার স্প্রে, অয়েল এমনকি লোশন ব্যবহার করি। শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। এগুলো তো এখন সব সময় কাজ হয় না। মশারা মশা দের মতন দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। ব্যাঙ্গালোরের ১৬ বছরের এক ছাত্রী তারা সবাই সামান্য বুদ্ধিমত্তার জোরে। প্রাকৃতিক উপায়ে একটি জামা বানিয়েছেন যা, মশা তাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করে। এর জন্য তিনি “Ministry of women and children welfare” থেকে পুরস্কৃত হন। তাকে পুরস্কার হিসাবে নগদ এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

জন্ম এবং বেড়ে উঠা ব্যাঙ্গালোরেই। ব্যবসায়ী বিবেকানন্দ প্রভু এবং শান্তালা প্রভুর কন্যা সুনিথা। তারই মাথা থেকে এমন অসাধারণ বুদ্ধি বেরিয়ে আসে। সুনিথা প্রথম থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের ভক্ত। স্কুলে পড়াকালীন এই তিনি নানান রকম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় যোগদান করতেন। তার মতে, মশা মারার ধুপ, মশা মারার ক্রিম এইসবই হলো ক্ষনিকের বস্তু। এগুলি শেষ হয়ে গেলে মশা আবার ফিরে আসে। তার জন্য প্রতি চার থেকে পাঁচ ঘন্টা অন্তর অন্তর এগুলোর প্রয়োগ করতে হয়। এই সমস্যা থেকেই তার মাথায় অল্প খরচে সমস্যা সমাধানের উপায় বেরিয়েছে। এই কাজে সুনিতাকে সাহায্য করেছেন সঞ্জীব হোতা।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

যখন সঞ্জীব এর সঙ্গে তার দেখা হয় তিনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন National Children Science Congress fair এ যোগদান করেছিলেন। তখন থেকেই তারা একে অপরের ভীষণ ভালো বন্ধু। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বার করলেন যে, কাপড়ের উপর এমন কিছু রং করা যেতে পারে, কাপড় থেকে এই রঙ কখনো নষ্ট হয় না এবং যা মশা নিরোধকও হতে পারে। আর যার স্বাভাবিকভাবেই ভালোবাসার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা দেখিয়েছেন এই মশা নিরোধক জামাটি চল্লিশ বার কাচার ধোয়ার হওয়ার পরেও একই রকমের কাজ করে। তবে দুজনেরই পরবর্তী কালের পরিকল্পনা হলো মানুষের কাজে লাগবে এমন নতুন কিছু আবিষ্কার করা। দুজনেই বিজ্ঞান নিয়েই তাদের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।

About Author