পাঁচদিনের পাহাড় সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল সেই পাহাড়েই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে মিছিল করবেন তিনি। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে পৌঁছে, সেখানে একটি মেলার উদ্বোধন করে চলে যান দার্জিলিংএ। সেখানেই আজ একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে তার বৈঠক আছে, এবং আগামীকাল বুধবার তিনি মিছিল করবেন পাহাড়ে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিল ঘিরে আগ্রহ পাহাড়ের একাধিক রাজনৈতিক দলের। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী এই মিছিলে পাহাড়ে তৃণমূলকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
গত লোকসভা, বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। একাধিকবার পাহাড়ে এসেও তিনি ঘাসফুল ফোটাতে পারেননি পাহাড়ে। মিরিক পুরসভা ছাড়া পাহাড়ে আর কোথাও ক্ষমতায় নেই তৃণমূল। কিন্তু কিছুদিন আগের হওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে জেতার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তৃণমূল শিবির। তাই আবার নতুন উদ্যমে পাহাড়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে বিনয় শিবিরও তৃণমূলের থেকে সব সুবিধা নিয়েও বিশেষ কিছুই করতে পারেনি। তাই এই মিছিলে নিজেদের শক্তি প্ৰমাণ করতে মরিয়া বিনয় শিবির।
আরও পড়ুন : রাজ্যে নেমেছে পারদ, কেমন থাকবে আবহাওয়া, কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস
আগামীকালের মিছিলের গতিপ্রকৃতিও ঠিক হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দার্জিলিং রাজভবন থেকে মিছিল যাবে মোটর স্ট্যান্ড পর্যন্ত। পাহাড়ে বর্তমানে বিমল গুরুং না থাকলেও তার প্রভাব অস্বীকার করছে না কেউই। তাদের প্রভাবেই লোকসভা এবং বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি জিতেছে বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই। কিন্তু অসমে এনআরসি হওয়ার পর কয়েক লক্ষ গোর্খা মানুষের নাম বাদ যাওয়ার বিজেপির উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পাহাড়বাসী। এই পরিস্থিতিতে এটাকেই কাজে লাগিয়ে তৃণমূল পাহাড়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে চাইছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।