দুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চাইল CESC, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস

Advertisement

Advertisement

দুর্যোগের ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকাতে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকাতে মানুষেরা বিক্ষোভ ও করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বারবার সিইএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমজনতাই নয়, সিইএসসির কাজে ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত পরিস্থিতি ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি নিজে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সিইএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউসন) অভিজিৎ ঘোষ দুর্ভোগের জন্য গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন যে করোনার জন্য কর্মী কম থাকায় পরিষেবা চালু করতে দেরি হচ্ছে।

Advertisement

আমফানের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড কলকাতা। রাস্তার চারিদিকে গাছ ভেঙে রয়েছে, পাঁচিল ভেঙে পড়েছে, দোকানপাট ভেঙে রয়েছে। বেশ কিছু এলাকাতে টানা ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কসবা, রাজডাঙা, গড়ফা, যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পুলিশ সামাল দিতে পারছেন না। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত আকার নিয়েছে। সিইএসসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও।

Advertisement

সিইএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউসন) অভিজিৎ ঘোষ জানান যে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে করোনার জন্য কর্মী কম রয়েছে। মানুষের কাছে তিনি ধৈ্র্য্য ধরার আর্জি জানিয়েছেন এবং এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় যে লকডাউনের কারণে তাঁদের বহু কর্মীই কাজে যোগ দিতেপারছেন না। তবুও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে তাঁদের অনেককেই কর্মস্থলে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে বহু সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন। কিন্তু এখন কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংস্থা।

Advertisement

Recent Posts