Categories: দেশনিউজ

রাজ্যগুলির কাছে টিকাকরণের পদ্ধতি জানতে চাইল কেন্দ্রীয় সরকার

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: গতকাল, বৃহস্পতিবার কলকাতায় কো-ভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে ট্রায়ালের জন্য। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যগুলির সঙ্গে টিকাকরণের পরিকল্পনা নিয়ে এক দফায় বৈঠক করে ফেলেছেন। আর এবার রাজ্যগুলির কাছে টিকাকরণের পরিকল্পনা জানতে চাইল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ কীভাবে টিকা বন্টনের ব্যবস্থা করা হবে? সেই তথ্যও রাজ্যগুলির কাছে চেয়ে পাঠাল কেন্দ্র৷ কাদের সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োজন, ব্লকস্তরে ছোট ছোট দল ভাগ করে সেই কাজ শুরু করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র৷ এই কাজে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি স্বেস্থাসেবী সংস্থা সহ স্থানীয় নেতা এবং ধর্মগুরুদেরও একযোগে কাজ করতে অনুরোধ রাখা হয়েছে৷

Advertisement

একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তৈরি থাকতেও বলা হয়েছে, যাতে টিকাকরণের পর কোনও আপতকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা সামাল দেওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ভ্যাকসিনের আগে, ছোট এবং বড়দের ফ্লু-এর টিকা নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়৷ এর ফলে কোনও বাড়তি সমস্যা এড়ানো সম্ভব বলে মত তাঁদের৷ যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সহমত কিনা, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

Advertisement

করোনায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ভ্যাকসিন ছাড়া কোনও গতি নেই৷ যারা ঘনঘন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বা যে কোনও বয়সেই টিকাই এখন একমাত্র বাঁচার পথ৷ বছরের এই সময় বাচ্চা, বড় সকলের মধ্যেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া টাইফয়েড, ফ্লু-য়ের মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ যারা কিছুটা শারীরিকভাবে দুর্বল বা গর্ভবতী মহিলাদের এই ধরণের টিকা নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়৷ এছাড়া মাস্ক পরা ও হাত স্যানিটাইজ করা খুবই দরকার৷ তার থেকেও সবচেয়ে বড় যেটা দরকার সেটা হল, সচেতনতা। যেটার অভাব মানুষের মধ্যে রয়েছে। মানুষ কতটা অসচেতন তার প্রমান লকডাউন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গিয়েছে। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে ভ্যাকসিন দেওয়ার বেশ কয়েক মাস পরেও পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হতে পারবে যে কেউ।

Advertisement