সীতাভোগ-মিহিদানাতেও এক্সপায়ারি ডেট, চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মিষ্টি বিক্রেতাদের কপালে

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল মিষ্টি বিক্রেতাদের এবার থেকে মিষ্টি বিক্রি করার সময় ‘বেস্ট বিফোর’ এবং ‘এক্সপায়ারি ডেট’ ক্রেতাদের কাছে উল্লেখ করে দিতে হবে। অর্থাৎ প্যাকেট ছাড়া খোলা মিষ্টির ক্ষেত্রে লেখা থাকতে হবে ‘বেস্ট বিফোর’। আর প্যাকেটজাত মিষ্টির ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতে হবে মিষ্টির ‘এক্সপায়ারি ডেট’। গতকাল, বৃহস্পতিবার থেকেই এই নির্দেশ জারি হয়েছে গোটা দেশে। আর এরই মধ্যে আরও একটি মিষ্টি সংক্রান্ত নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নির্দেশে বলা হয়েছে সীতাভোগ এবং মিহিদানা বিক্রির ক্ষেত্রেও উল্লেখ করতে হবে ‘এক্সপায়ারি ডেট’। কিন্তু দুধ-ছানা দিয়ে তৈরি মিষ্টির ক্ষেত্রে ‘এক্সপায়ারি ডেট’-এর হিসেব রাখা কীভাবে সম্ভব, এই প্রশ্ন তুলেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

ভিন রাজ্যে যেখানে শুকনো মিষ্টি পাওয়া যায়, সেখানে প্যাকেটের গায়ে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ দেওয়া হয়তো সম্ভব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মূলত দুধ-ছানার তৈরি মিষ্টি বেশি প্রচলিত। সেক্ষেত্রে কীভাবে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ লেখা সম্ভব, তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন বর্ধমান, কলকাতার নামী-দামী মিষ্টি বিক্রেতারা।

Advertisement

কেন্দ্রের এই নির্দেশের ফলে কার্যত সীতাভোগ, মিহিদানা এবং ল্যাংচা বিক্রিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের, এমন অভিযোগ করা হয়েছে। সাধারণত মিষ্টির আয়ু নির্ভর হয় আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে কীভাবে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ দেওয়া সম্ভব তা ক্রেতাদের মনেও প্রশ্ন জাগাচ্ছে। কীভাবে ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ ও ‘বেস্ট বিফোর’ জানাবে। কারণ, ক্রেতারাও জানেন এটা একটা অসম্ভব ভাবনাচিন্তা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বুঝবে কি? তা নিয়েই এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।

Advertisement