অশান্তির জেরে নারদ কান্ড অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে চায় সিবিআই, আবেদন হাইকোর্টে

গতকাল বিকেলে ৪ নেতার জামিন হয়ে যায়

Advertisement

Advertisement

গতকাল বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল নারদ কান্ডে ৪ তৃণমূল নেতার হঠাৎ গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গ নিয়ে। গতকাল সকাল সকাল ফিল্মি কায়দায় সিবিআই গোয়েন্দারা তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং নিজাম প্যালেসের অফিসে নিয়ে আসে। তবে তাদের গ্রেপ্তারির খবর পেয়ে সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গোটা দিন চলে সিবিআই বনাম রাজ্যের আইনি লড়াই। গতকাল দুপুরেই স্পেশাল সিবিআই আদালত বসিয়ে ভার্চুয়াল শুনানির পর ৪ জনকে জামিন দেওয়া হয় ও সিবিআই এর অভিযোগ খারিজ করা হয়। গতকাল রাত অব্দি সিবিআই ওই চার নেতার বিরুদ্ধে জামিন খারিজ করার অনুরোধ জানায় নি। তবে তারা উচ্চ আদালতকে এই মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছে।

Advertisement

আসলে গতকাল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে আনা হলে সেখানে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক সিবিআই এর প্রধান দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এমনকি বিক্ষোভ সামলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। এক কথায় বলতে গেলে গতকাল গ্রেপ্তারির পর রাজ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। এত অশান্তির মাঝে তদন্ত চালানো সম্ভব না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সিবিআই দপ্তর। এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাবার অনুরোধ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়।

Advertisement

গতকাল সিবিআই দপ্তর চার নেতার জামিন খারিজের কোন অনুরোধ জানায় নি। গতকাল দুপুরে বিক্ষোভের মাঝেই সিবিআই বিশেষ আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। শুনানির পর ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়। সিবিআই গোয়েন্দারা নেতাদের হাজতবাসের দাবি করলে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপর সিবিআই গোয়েন্দারা অন্য রাজ্যে এই মামলা চালানোর অনুরোধ করেছে। গতকাল রাতে শুধুমাত্র সিবিআই আইনজীবী এই মামলায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর আজ নেতাদের আইনজীবী মামলায় উপস্থিত থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটাই দেখার।

Advertisement