চিকিৎসকরা অনুমতি দিলে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে দেখা যাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে জানা যাচ্ছে, দলের কাছে ব্রিগেড সমাবেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছেন পাম এভিনিউ এর বাসিন্দা

Advertisement

Advertisement

অসুস্থতার কারণে তিনি শয্যাশায়ী। কিন্তু তা হলেও বামফ্রন্টের প্রতি তার নিষ্ঠা কিন্তু একেবারে প্রশ্নাতিত। অসুস্থ শরীর নিয়ে তাই ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে জানা যাচ্ছে, দলের কাছে ব্রিগেড সমাবেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছেন পাম এভিনিউ এর বাসিন্দা। রাজ্য সিপিএম নেতৃত্বের চাইছে যেতে কিছুক্ষণের জন্য ব্রিগেড সমাবেশে আসতে পারেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু তার শরীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সবার আগে কিন্তু দরকার চিকিৎসকদের পারমিশন। সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন জানো যে কোনোভাবেই হোক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়াল ভাবে হলেও উপস্থিত করানো হোক। কিন্তু তারই মধ্যে শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নিজে আসতে আগ্রহী হওয়ায় উজ্জীবিত হয়েছে বাম শিবির।

Advertisement

মুজাফফর আহমেদ ভবনের বড় কর্তারা চাইছেন যাতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্রিগেড সমাবেশে আনা হয়। তার ধুলায় এলার্জি রয়েছে আর জনসমাবেশের কারণে ব্যাপকভাবে ধুলা উড়ে। চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সমাবেশে আসা নিশ্চিত করবেন। অন্যদিকে পলিটব্যুরো সদস্য মোঃ সেলিম বলেছেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু একজন নাম নন। তিনি বামফ্রন্ট কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটা নতুন অক্সিজেনের কাজ করেন। বাম কর্মী সমর্থকরা তাকে দেখার জন্যে উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তিনি যদি ব্রিগেড সমাবেশে আসেন তাহলে আমাদের কাছে তা খুব খুশির খবর হবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে চিকিৎসকের পরামর্শের উপর।”

Advertisement

প্রসঙ্গত জ্যোতি বসুর পরে ২০০০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতি থেকে পরে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ। তারপর থেকে কিন্তু এমন কোন ব্রিগেড সমাবেশ নেই যেখানে তিনি ছিলেন না। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ২০১৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় সিপিএমের সাংগঠনিক প্লেনাম উপলক্ষে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল বামফ্রন্ট। সেখানেও প্রধান বক্তা ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এমনকি, ২০১৯ সালেও বামফ্রন্টের শেষ ব্রিগেড সমাবেশে অসুস্থ শরীর নিয়ে পৌঁছেছিলেন বুদ্ধদেব। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি মঞ্চে ওঠেন নি বক্তৃতা করেন নি। মঞ্চের পিছনে গাড়িতে বসে বক্তব্য শুনছিলেন। সেদিন নাকি অক্সিজেন নল পরা বুদ্ধদেবের ছবি দেখে খানিকটা আক্ষেপ করেছিল বামফ্রন্ট সমর্থকরা। আর এবারের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য তিনি আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, সেই নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছে বামফ্রন্টের ছাত্র-যুব সমর্থকরা।

Advertisement