একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনী ফলপ্রকাশে মমতা ম্যাজিক কাজ করেছে গোটা বাংলায়। ফের তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে ক্ষমতায় আসবে মমতা সরকার। কিন্তু এরই মাঝে অভিযোগ উঠছে যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার পর বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বা তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আজ ২ দিনের জন্য বাংলা সফরে আসছেন। বিজেপির অভিযোগ, গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীর বিজেপি কর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে এবং অনেক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ঘরে তালা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বা পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি বিজেপি জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই তাদের ৬ কর্মী খুন হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দীগ্রামের বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বলেছেন, “নন্দীগ্রামের #কেন্দামাড়ি গ্রামে BJP4Bengal বিজেপি মহিলা কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে তাদের উপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের #আসল_পরিবর্তন না করে এটাই কি সাধারণ মানুষের পাওনা?” এছাড়াও বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, “বীরভূমের নানুর উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কয়েকশো হিন্দু পরিবার ঘর ছেড়ে মাঠে আশ্রয় নিয়েছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানির খবর সামনে আসছে। অমিত শাহজি দয়া করে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার ব্যাপারটা ভেবে দেখুন।”
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে টুইট করেছেন, “প্রতিটি ঘটনাই বিজেপির অন্তর্কলহের ফল। ওদের মধ্যেই ৩ টির বেশি দল রয়েছে। পরস্পরকে তারা ঘৃণা করে। গত ৪ মাস ধরে মো-শা এখানে এসে ঘৃণা ছড়িয়েছে। শান্তি ও সম্প্রীতি চায় বাংলা। বিভাজন চায় বিজেপি।” তবে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন তারা গোটা ভারতজুড়ে কোভিড বিধি মেনে ধর্নায় বসবে।