SCC-PTTI সমস্যার সমাধান, নিয়মিত নিয়োগের সাথে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি বিজেপির খসড়া ইশতেহারে

প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচার থেকে ইশতেহার প্রকাশ, ভোট নেওয়ার আগে একধাপ এগিয়ে থাকতে চাইছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি

Advertisement

Advertisement

একুশের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। বল এখন বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির কোর্টে। প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচার থেকে ইস্তাহার প্রকাশ, ভোট নেওয়ার আগে একধাপ এগিয়ে থাকতে চাইছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এইবার বাংলার বিধানসভা ভোট যেহেতু গেরুয়া শিবিরের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও চমকে থাকা স্বাভাবিক। গেরুয়া শিবির এখনও তা প্রকাশ না করলেও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে একটি খসড়া ইস্তাহার। ঐ খসড়া ইস্তেহারেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শাসক শিবিরের বেশ কিছু ক্ষেত্রে শাসক শিবিরের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিফলন থাকছে বলে দলীয় সূত্র হতে খবর।

Advertisement

ইস্তেহার তৈরির জন্য ইতিমধ্যে বাংলার ২৯৮ টি বিধানসভা থেকে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে শুরু করা হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সব মতামত এলে ঐ খসড়া ইস্তেহার সংশোধন, পরিমার্জন করে তা প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

বাংলায় গেরুয়া শিবিরের অবাঙালি সংস্কৃতি চালান করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী পক্ষ। সেই কথা মাথায় রেখে এইবার বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে চলেছে পদ্ম শিবির। এমনটাই জানানো হয়েছে দলীয় সূত্র হতে। এমন দাবি অবশ্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্র এখনও তাতে সবুজ সংকেত দেয়নি। ফলে সেদিক থেকে দেখতে গেলে তৃণমূলের রাস্তায় হেঁটেই ওই পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। তবে ইস্তাহার প্রকাশ না হওয়া পর্য্ন্ত তা নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না।

Advertisement

বাংলার এসএসসি পরীক্ষা, পিটিটিআই, প্রাইমারিতে নিয়োগ, প্যারা টিচারদের সমস্যা নিয়ে বহুবারই সরব গেরুয়া শিবির। এই সব বিষয়গুলিও এইবার থাকছে গেরুয়া শিবিরের ইস্তেহারে। এছাড়াও বাংলার সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো সংশোধন, বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ, নিয়মিত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও থাকছে। ওই সব সমস্য়ার একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করবে বিজেপি। এমনটাই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে।