বিজেপি এবারে জিতছে, তাই সবাই প্রার্থী হতে চাইছেন, ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষের

জায়গায় জায়গায় প্রার্থী বদল নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে অসন্তোষ। চলছে পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং পতাকা পোড়ানো

Advertisement

Advertisement

প্রথমে চারটি দফায় প্রার্থী ঘোষণা করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তারপর আরো চারটি দফায় প্রার্থী ঘোষণা করে এবারে সমস্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা শেষ করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৪৮ টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। জায়গায় জায়গায় নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গলা তুলছেন কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী বদল নিয়ে ক্ষোভ ছিল এর আগেই। আর এবারে আরো বেশি করে সেই ক্ষোভ সবার সামনে চলে আসছে।

Advertisement

আর এবারে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের জন্য লড়াই এর টিকিট না পাওয়ার কারণে অনেক জন বিজেপি নেতা বেশ ক্ষুব্ধ। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন, “এবারের নির্বাচনে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিজেপি জিতছে। এই কারণে দলের অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি, অন্যান্য দলের সদস্যরা প্রার্থী হওয়ার জন্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সকলকে তো প্রার্থী করা সম্ভব নয়।”

Advertisement

এছাড়াও দিলীপ এর বক্তব্য, “দল যার জেতার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি দেখেছে তাকে প্রার্থী করেছে। আর যারা প্রার্থী হননি তাদের কাজ হল, আমাদের যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে জেতান। বাকিদের দায়িত্ব হলো এই পরিবর্তনের সাথী হয়ে দলের প্রার্থীদের জয়লাভ করানো। আমি চাইবো যাতে সকল এ আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে এবারে বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন দিয়ে জয়লাভ করাক।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে অনেকেই কিন্তু দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। পছন্দসই আসনে প্রার্থী না হওয়ার কারণে বিজেপি ত্যাগ করেছেন হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তপন সিকদার এর ভাইপো সৌরভ সিকদার দলের সমস্ত পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এর আগে বিজেপির হেস্টিংস পার্টি অফিসে বিক্ষোভ দেখেছিল বিজেপি কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছিলেন মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত। যদিও সেই সময় দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই সমস্যা মিটে যাওয়ার কোনো রকম লক্ষণ দেখছেন না বিজেপি নেতারা।