শনিবার রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলায় চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে চারটির চারটি আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল। অর্থাৎ বিজেপির এত লড়াই করা সত্ত্বেও হার মানতে হল। এই দিন তৃণমূলের জয় যতটা সকলের নজর কেড়েছে তার থেকেও বেশি চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির ভোট কমা নিয়ে। জেতাতো দূরের কথা উল্টে সব কেন্দ্রেই রেকর্ড হারে ভোট কমেছে। আর আজ নিজের দলে এই জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জয়ের তাঁর জয় নত এই জয় জনগণের বিজয়। একই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণও করেছেন।
বিরাট মার্জিনে চার কেন্দ্রের জয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, “চার বিজয়ী প্রার্থীকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন! এই বিজয় জনগণের বিজয়, কারণ এই ফল দেখিয়েছে কিভাবে বাংলা সর্বদা অপপ্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে। জনগণের আশীর্বাদে আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” জানিয়ে রাখা ভালো ভারতের নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই এই উপনির্বাচনের ফলাফল সকলের সামনে এসে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা এবং দিনহাটা এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই শুরু থেকেই বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। আর সেই ধারাই শেষ পর্যন্ত বজায় রেখেছে ঘাস ফুল।
উল্লেখ্য, এবারের উপ নির্বাচনে সেই উদয়ন গুহ দিনহাটা কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন৷ জয়ের নিরিখে তার পরেই রয়েছেন গোসাবার জয়ী প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল৷ তার জয়ের ব্যবধান ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫১ ভোট৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছেন খড়দহের জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জয়ের ব্যবধান ৯৩ হাজার ৮৩৮ ভোট৷ শান্তিপুরেও জয়ী তৃণমূল৷ ব্রজকিশোর গোস্বামীর জয়ের ব্যবধান ৬৪ হাজার ৪৩৬ ভোট৷
শুধু মমতাই নয় চার কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের পরেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে বিজেপিকে দিপাবলীর শুভেচ্ছা জানালেন দিদির ভাইপো অভিষেক সাথে করেছেন টুইটও। তৃণমূলের যুবরাজ টুইট করে লিখেছেন, “সত্যি অর্থেই একটি বাজি মুক্ত দীপাবলি। শুভ দীপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা।” এই টুইটে বিজেপিকে ট্যাগ করতে ভোলেননি তিনি।