ব্যাঙ্ক ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স কভার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত পাবেন গ্রাহকরা

Advertisement

Advertisement

মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব পরিবারে টাকা সঞ্চয়ের জন্য অন্যতম ভরসার জায়গা হল সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক। কিন্তু কখনও যদি ব্যাঙ্ক ডাকাতি বা ব্যাঙ্ক দেওলিয়ার মত ঘটনা ঘটে তখন সেই হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের সঞ্চয় হারিয়েও যেতে পারে। ২ রা ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য এবার এক সুখবর বললেন শিল্পমন্ত্রী পিয়ুষ গোয়াল। এবার এক ধাক্কায় পাঁচগুণ বেড়ে গেল ব্যাঙ্কের ডিপোজিটের ওপর ইন্সিউরেন্স কভারেজ।

Advertisement

বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, একটি নূন্যতম বিমার সীমা এবার বাড়ানোর খবর প্রকাশ্যে আনলেন পিয়ুষ গোয়াল। আগের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাাঙ্ক মারফত গ্রাহকের টাকা ফরফিট হলে সেই টাকার এক লাখ টাকাই ফেরত পেত গ্রাহকেরা। শুধু তাই নয়, এই ফরফিটের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল ১০ বছর। আর এই নিয়মের জেরেই বেজায় চিন্তিত ছিলেন ব্যঙ্কের গ্রাহকরা।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা নিজেদের জমানো টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের ভরসায় রেখে দেওয়ার পর সেই ব্যাঙ্কটি হঠাৎ করে যদি দেউলিয়া ঘোষণা হয়, তবে গ্রাহকের ব্যাঙ্কের টাকা পুরোপুর নষ্ট। শুধু তাই নয়, বিমার ভিত্তিতে প্রাপ্য টাকার পরিমাণও যে খুব স্বল্প তাই এর জেরে ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা হারানোর সম্ভাবনাই থেকে যায় প্রবল।  এবার সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে, ব্যঙ্ক গ্রাহকদের হয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পিয়ুষ গোয়াল। তিনি জানালেন, এই ফেরত দেওয়া অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১ থেকে ৫ লক্ষ করা হল।

Advertisement

পাশাপাশি তিনি আরো জানালেন, ১০ বছরের মধ্যে গ্রাহককে আর অপেক্ষা করতে হবেনা, মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই এই টাকা গ্রাহককে ফেরত দিতে হবে। এই ডিপোজিট ইন্সিউরেন্স ক্রেডিট গ্যারেন্টি  স্কিমের টাকা বাড়ানো কথা প্রথম সকলের সামনে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনই সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মনমোহন সিংকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন এই বিমার অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর কথা, পাশাপাশি ১০ বছর অতিরিক্ত বেশি সময় কমিয়ে ফেলা হোক এই মেয়াদও। কিন্তু সেই সময় সরকার তা মেনে নেয়নি বলেই এদিন সকলের সামনে প্রকাশ্যে আনেন পিয়ুষ গোয়াল। 

বর্তমানে যদি কোনও ব্যঙ্ক গ্রাহক ব্যাঙ্কে তাঁর টাকা জমা রাখেন, এবং ব্যঙ্ক তা সময় মত ফেরত দিতে সক্ষম না হয়, তবে তিনি নিশ্চিতরূপে ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। শুধু তাই নয়, এই ফেরত দেওয়া টাকার জন্য গ্রাহককে আর ১০ বছর অপেক্ষা করত হবে  না, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এই টাকা ব্যাঙ্ককে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।