দলবদলের পথে বাবুল? অবশেষে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা

নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তার দলবদলের জল্পনা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা

Advertisement

Advertisement

বাবুল সুপ্রিয়, এই নামটি বর্তমানে রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই তিনি একেবারে রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে। তার প্রত্যেকটি পোস্ট বেশ জনপ্রিয়। প্রথম থেকেই তিনি রাজনীতিতে অদ্ভুত ভাবেই এসেছেন। একটা অনুষ্ঠানে গেছিলেন, গান গাইতে। সেখানে রামদেবের সঙ্গে দেখা, তারপরেই তার রাজনীতিতে পদার্পন। তারপর দীর্ঘ ৭বছর মন্ত্রী থাকা। তার এই কাজের তালিকাও নেহাত কম না। বিজেপির জন্য তিনি একেবারে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন এতদিন।

Advertisement

কিন্তু সম্প্রতি কি এই ভালোবাসায় টান পড়লো? কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার বিষয়টি খুব একটা ভালোভাবে নিতে পারলেন না আমাদের সিঙ্গার টু সাংসদ বোম্বে কাপিয়ে ভারত নাচিয়ে বাংলায় আসা মানুষটি? অনেকটা মনে হচ্ছিল বটেই। অন্তত তার ফেসবুক পোস্ট এবং তার টুইটারে করা সবকটি পোস্ট কিন্তু সেদিকেই দিকনির্দেশ করছিল। বাবুল বেসুরো, এই কথাটি মধ্যে চাউর হতে না হতেই তার সোশাল মিডিয়ায়, তার বাড়ির আশেপাশে, তার ফোনকলে হাজার অনুরাগীর মেসেজ। কিন্তু এতদিন ধরে কোনো মেসেজে পাত্তা দিচ্ছিলেন না বাবুল। কিন্তু আজকে মৌনব্রত ভঙ্গ। বাংলার প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে যখন বিপত্তারিনী ব্রত চলছে, সেইদিনই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাবুল।

Advertisement

বললেন, “নানা গুজব আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে। অনেকেই তা শুনেই প্রতিক্রিয়া দিতে, ট্রোল করতে, নোংরা গালিগালাজ করতে ছুটে আসছেন। দয়া করে, এসবের মধ্যে আমাকে জড়াবেন না। আমার করা কাজ দিয়ে আমাকে বিচার করুন, গুজব দিয়ে নয়।” কথাগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখনো কাজ করবেন, ঠিক যেমনটা বলেছিলেন তার একদা শত্রু বর্তমান বন্ধু জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কাজ দিয়েই নিজের পরিচয় বানাতে চাইছেন বাবুল। আবারো বিজেপিতে নিজের আগের জায়গা ফিরে পেতে হবেই। তাই এখন নিজের পুরনো কাজ সামনে রাখাটাই শ্রেয়।

Advertisement

তবে এখনও কি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে বরফটা আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বাবুল কোনো মন্ত্রব্য করতে চাইছেন না। তবে তিনি নিজে কিন্তু দলে ঘোষিত মুকুল পন্থী হিসাবে পরিচিত ছিলেন (এখন যদিও থাকার কোনো অবকাশই নেই)। তবে এখন বিজেপিতে থাকতে হলে তাকে একটা নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করতে হবে, নাহলে শুভেন্দু অধিকারীর টিমে ভিড়ে যেতে হবে। এদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কাজ করেও তিনি স্বাচ্ছন্দ্য। তো, সম্ভাবনা প্রবল তিনি হয়ত শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতাটাকেই গ্রহণ করবেন, কারণ কার্যত রাজনীতিতে বহিরাগত একজন নেতার পক্ষে দলের মধ্যেই নিজের টিম বানানো সহজ কাজ না। তবে, আর কিছু হোক না হোক বাবুলের পোস্ট যে মোদি, অমিত শাহের পর্যন্ত মাথার পোকা নড়িয়ে দিয়েছিল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।