#BabaKaDhaba : সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি, কীভাবে বদলে গেল এক লড়াকু বৃদ্ধর জীবন?

Advertisement

Advertisement

“মানুষ মানুষের জন্য মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? ও বন্ধু” ভূপেন হাজারিকার এই গান আজ সত্যি হল। হ্যাঁ, আমরা প্রত্যেকে পরের জন্য আবার নিজের জন্যেও। আমরা সবাই একই সূত্রে বাঁধা, শুধু বুঝতে পারি না। রক্তের সম্পর্ক যে শেষ কথা নয় তা বহু ক্ষেত্রে বহু উদাহরণ রয়েছে। ভালবাসার সম্পর্কে বহুদূরের মানুষকেও কাছে আনা যায় নিঃশব্দে। এটা এক প্রয়াস শুধু। এই ইচ্ছে যদি আমাদের মনে থাকে তবে মানবতার জয়ধ্বনি উঠবেই।

Advertisement

হ্যাঁ, মানবতাকে আরেকবার কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় নেই। যখন একজন লড়াকু মানুষ তার শেষ শক্তি দিয়ে সৎ মনে লড়াই করেন তখন এক শুভ শক্তির সঞ্চার হয়। আজকের কথা হচ্ছে উত্তর দিল্লিতে মালভিয়া নগরের শিবালিক কলোনির ঘটনা প্রসঙ্গে। ‘বাবা কা ধাবা’ নামে ছোট্ট একটা খাবারের দোকান চালান ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী বাদামী দেবী। সকাল ৬ঃ৩০ থেকে রান্না শুরু করেন এই বৃদ্ধ দম্পতি, আবার সকাল ৯ঃ৩০ টার মধ্যে ডাল, ভাত, সবজি, পরোটা তৈরি করে ফেলেন। সব খাবারের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। ওই ধাবার মটর পনির খুব স্পেশ্যাল। এক ব্লগার ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দকানের ভিডিও করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। জানান এই লক ডাউনে বিক্রি নেই। সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়।

Advertisement

Advertisement

এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে উঠে এসেছেন বহু মানুষ। কেউ কেউ লাইমলাইটের আওতায় পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। আবার কেউ সাহায্য পেয়েছেন হাতে গোনা বলিউডের সেলিব্রিটিদের থেকে। তবে এ হল এক সাধারণ মানুষের কাহিনী। যার রুটিরুজি চলে রুটি সবজি বিক্রি করে। আজ সেই বিক্রি যদি স্তব্ধ হয়ে যায় তবে তাঁর চোখে জল আসবেই। সেরকমই হলেন কান্তা প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী বাদামী দেবী। এই বৃদ্ধ বয়সেও সাত সকালে উঠে খাবার রান্না করেন বিক্রির জন্য। কিন্তু করোনার এই মহান দশায় সেই বিক্রি গিয়ে ঠেকে দৈনিক ৫০ টাকায়। তাই আর চোখের জল আঁটকে রাখতে পারেননি ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ।

কিন্তু আজ তিনি হাসছেন। কারণ এই সোশ্যাল মিডিয়া কান্তা প্রসাদ ও বাদামী দেবীর হাসির দ্বায়িত্ব নিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে তাঁর ভিডিও। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সবাই মুখ খুলেছেন ‘বাবা কা ধাবা’ র জন্য। আজ লম্বা লাইন হচ্ছে এই লড়াকু মানুষের দোকানে। তাই আবারও জয় হল মানবতার। সত্য, “মানুষ মানুষের জন্য মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না? ও বন্ধু” উত্তরে হ্যাঁ পারে।

গোটা দেশ আজ এই বৃদ্ধ যোদ্ধার সঙ্গে। খুশি তিনি। নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন ৮০ বছরের কান্তা প্রসাদ।

Recent Posts