বাংলা রাজনীতিতে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি কোন প্রভাব ফেলতে পারবেন না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ইতিমধ্যেই আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) এবং আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Siddiqui) একসাথে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন

Advertisement

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোট কাটার জন্য এবারে হাজির দুজন। একজন হলেন সুদূর হায়দ্রাবাদের এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। এবং আরেকজন হলেন পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকী (Abbas Uddin Siddiqui)। দুজন মিলে বর্তমানে এই ভোট কাটার সমীকরণ ঠিক করতে বসেছেন। হুগলির ফুরফুরা শরীফে এদিন সেই সমীকরণ এর দিক নির্দেশ করতে এসে পৌঁছেছিলেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন এতে তেমন কোনো রকম লাভ হবে না।

Advertisement

আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির। বৈঠক শেষে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি জানান,” আমরা বৈঠক করেছি। আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি আমার থেকে বড়। এই কারণে এই বারের নির্বাচনে আব্বাস উদ্দিন সিদ্দিকী কে সামনে রেখে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছে মিম।” অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করছে, সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য বিহারে প্রার্থী দিয়েছিল মিম। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করছে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। কিন্তু বেশ কিছু মুসলিম ইমাম এবং খলিফা দাবি করেছেন বাংলাতে এটা করা সম্ভব নয়।

Advertisement

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে নতুন দল গঠন করার কথা ছিল পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর। কিন্তু তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সোমবার ভাঙ্গড়ের চন্ডিহাট এর সভা থেকে আব্বাস সিদ্দিকী বলেছেন,’ নতুন দল গঠন নিয়ে আমরা অনেকটা এগিয়ে গেছি। ইতিমধ্যেই দুটি সংসদীয় দল আমাদের সাথে কথা বলছে।” অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddikulla Chowdhury) বলেছেন, বাংলাতে কোন সুবিধা করতে পারবে না এআইএমআইএম।

Advertisement

তবে ফুরফুরা শরীফের অপর পীরজাদা বলছেন,” বাংলা এবার ভোট হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূমে ভালো সংখ্যক মুসলিম রয়েছে। তাই এই সমস্ত জায়গাকে টার্গেট করতে পারে মুসলিম এই দুটি দল। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই নিশানা করে চলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। আব্বাসের দাবি,’ এই সরকারের আমলে কোন উন্নতি হয়নি। আমরা এবারে নিজেদের জন্য লড়াই করব। নিজেরা নিজেদের অধিকার বুঝে নেব।”

ফলে এই সমীক্ষা থেকে বোঝাই যাচ্ছে এই বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু মুসলিম ভোট একটা বিশাল বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। ১২০ টি বিধানসভা আসনে মুসলিম ভোট বড় ফ্যাক্টর। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে দিয়ে গেছেন এবারের নির্বাচনে ২৯৪ এর মধ্যে ২০০ আসনে জয়লাভ করবে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবির ৯৯ পেরোতে পারবে না। নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে তৃণমূলের একটা বড় অংশ থাকে মুসলিম ভোটের উপর নির্ভরশীল। তাই এবারে এআইএমআইএম এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দল কিছুটা হলেও মুসলিম ভোট ভাগাভাগি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Recent Posts