আনন্দপুর কাণ্ডে সাহসিনী নীলাঞ্জনাকে চিঠি রবিন বাবুর

Advertisement

Advertisement

কলকাতা : আনন্দপুর কাণ্ডের এখন আরেকটা দিক হলো নীলাঞ্জনা। রবিবারের ঘটনার পরে নীলাঞ্জনার স্বামীর কাছে এসেছে অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা। তার মধ্যে তাদের সাহসিকতাকে বাহবা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন  রবিন পাত্র নামক এক ব্যাক্তি।  নীলাঞ্জনার স্বামী প্রথমে কাগজ হাতে রবিন বাবুকে দেখে ভেবেছিলেন হয়তো তিনি  সাহায্য চাইতে এসেছেন।

Advertisement

কিন্তু কানে কানে “সাহসিনীর” স্বামীকে রবিন বাবু বললেন, “আমার তো আর কেউ নেই, কিন্তু কিছু জমানো টাকা আছে, যদি আপনার দরকার হয় বলবেন।” এই কথা শোনা মাত্রই আবেগের জলে চোখ ভরে ওঠে নীলাঞ্জনার স্বামীর।  এমনকি রবিন বাবু আরো জানান “বাড়িতে আমার ছেলেকে বলে এসেছি যদি রক্ত লাগে তাহলে সে যেনো চলে আসে।”  অন্যদিকে এই ঘটনার পর আড়াইদিন হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও অধরা আনন্দপুরকান্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডে। এই ঘটনার পরে অভিষেক পান্ডে দোষী বলেও স্বীকার করেছেন  তাঁর মা। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর আজ গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্যাটেরর সামনে থেকে হন্ডাসিটি করে আনন্দপুরের নির্যাতিতাকে ঘুরতে নিয়ে যায় অভিষেক পাণ্ডে। ঘুরতে বেড়িয়ে প্রথমে পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁরা। খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেন দুজন। পরে অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগর পৌঁছায় তাঁরা।

Advertisement

এরপরেই ওই তরুণী অভিযুক্তকে নয়াবাদের বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলার পরেই চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিষেক। ওই তরুনী বাধা দেওয়ায় তখনই তাঁকে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করে অভিষেক।আর এই সময়ই গোটা ঘটনা নজরে আসে ওই দম্পতির । সেখান থেকে নীলাঞ্জনাই প্রথম এগিয়ে আসে ওই নির্যাতিতাকে সাহায্য করতে। আর এরপরেই সবার কাছে সাহসের প্রতীক হয়ে ওঠেন নীলাঞ্জনা।

Recent Posts