Categories: দেশনিউজ

পাঁচ বছরে ৩৫ বার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন অমিত শাহ

Advertisement

Advertisement

গুয়াহাটি: বিরোধী দলকে বিঁধতে নয়, নির্বাচনী প্রচারে উন্নয়নের উপরই জোর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার নির্বাচনমুখী অসমে প্রচারে হাজির হয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, “আগে অসম পরিচিত ছিল আন্দোলন, হিংসা ও অস্ত্রশস্ত্রের জন্য। বর্তমানে তা পরিচিত উন্নয়ন, শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগ, শিক্ষা ও পর্যটনের জন্য।”

Advertisement

আগামী এপ্রিল-মে মাসেই অসমে নির্বাচন হতে চলেছে। বাংলা সহ অসমকেও পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে বিজেপি (BJP)। ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্য সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার অসমে একাধিক জায়গায় প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। এদিনের সফরেও তাঁর আলোচনার সারবস্তু ছিল উন্নয়ন। নাগাঁওয়ের জনসভায় তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উন্নয়নের নতুন যুগ তৈরি করার উদ্দেশে কাজ করছে। আগে অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারত হিংসা, আন্দোলনের জন্য পরিচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী অসমের সম্মান ফেরাতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করেছেন। সেই কারণেই আজ অসম উন্নয়ন, শিক্ষা ও পর্যটনের জন্য স্বীকৃতি পাচ্ছে।”

Advertisement

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “উন্নয়নের পথেই এগোচ্ছে অসম। এটি তো কেবল প্রথম দফা, এই অনুষ্ঠানের পর আরও এগিয়ে যাবে রাজ্য। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অসমে উন্নয়নের বিভিন্ন নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে।”

Advertisement

কেবল অসমই নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে উন্নয়ন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বন্যা সমস্যায় জর্জরিত অসম। এই সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই একটি উপগ্রহ সমীক্ষা করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও শুরু করা হয়েছে। পর্যটন ও পরিকাঠামোর উন্নয়নেও একাধিক প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অসমকে বন্যামুক্ত করার পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ও হিংসামুক্ত করা হবে। আগামিদিনে দেশের ডিজিপিতে অন্যতম উত্তর-পূর্ব ভারত অংশীদার হবে।”

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একাধিকবার সফর নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে অমিত শাহ বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী ৩৫ বার রাজ্যসফরে এসেছেন। কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা সারা বছর দিল্লির রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, কেবল নির্বাচনের মুখেই আসেন রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। দীর্ঘ বছর ধরে কংগ্রেস অসমে শাসন চালিয়েছিল, কিন্তু কেউই ভূপেন হাজারিকাকে ভারতরত্ন দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে ভারতরত্নের সম্মান দিয়েছেন।”