বিরসা মুন্ডার ভুল মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন অমিত শাহ, চিঠি পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি আদিবাসীদের

Advertisement

Advertisement

কয়েকদিন আগে বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এসে বাঁকুড়া কর্মসূচিতে গিয়ে আদিবাসী ভোটারদের মন জয় করতে বিরসা মুন্ডার একটি মূর্তিতে মাল্যদান করে তাকে সম্মান জানায়। কিন্তু পরে গ্রামবাসী ও বিরোধীরা বলে যে ওই মূর্তিটা আদতে বিরসা মুন্ডা ছিলই না। সেটি একটি শিকারির মূর্তি ছিল। শিকারির মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে মাল্যদান করে আদিবাসীদের দেবতা বিরসা মুন্ডাকে অসম্মান করেছে। তারপরই শাহকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার দাবি জানায় গ্রামবাসীরা। এবার সম্প্রতি সেই দাবি জানিয়ে প্রায় আদিবাসীদের ৫০ হাজার চিঠি গেছে অমিত শাহের কাছে।

Advertisement

বাংলা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানত আদিবাসী ও মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক আদায়ের চেষ্টা করেছিল। সেজন্যই তিনি পরপর দুদিন রাজ্য সফরে এসে মতুয়া বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন। একইভাবে আদিবাসীদের কাছে প্রিয় হতেই তিনি বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেছেন। কিন্তু তার স্ট্রাটেজি উল্টে তারই সমস্যা কারন হয়ে উঠলো।

Advertisement

সেই বাঁকুড়ার আদিবাসীরাই অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য অমিত শাহ কিছু না বুঝেই বিরসা মুন্ডার জায়গায় এক শিকারী মূর্তির গলায় মাল্যদান করেছিলেন। এই কাজের মাধ্যমে সে আদিবাসী সমাজের দেবতার অপমান করেছে বলেই বক্তব্য গ্রামবাসীদের। তাদের দেবতার এরকম অপমান তারা কিছুতেই মেনে নেবে না। তারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫০ হাজার চিঠি পাঠিয়ে অমিত শাহকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ জানিয়েছে এসব তৃণমূলের চক্রান্ত। শাসকদল নাকি বিরসা মুন্ডার মূর্তি সরিয়ে দিয়েছিল। আর তারপর তিনি উদ্দেশ্য কন্ঠে বলেছিলেন যখন অমৃতসরী মূর্তিতে মাল্যদান করে দিয়েছেন তখন আজ থেকে ওটায় বিরসা মুন্ডার মূর্তি। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শাসকদল উড়িয়ে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে গেরুয়া শিবির অকারণেই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।