নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘নন্দীগ্রামে মমতাকে হারালেই গোটা রাজ্যে পরিবর্তন আসবে’, মন্তব্য অমিত শাহের

গতকাল নন্দীগ্রামে শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলতে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

Advertisement
Advertisement

বাংলা বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। গত শনিবার প্রথম দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবার পালা দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের। আগামীকাল রাজ্যের ৪ টি জেলায় ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণপর্ব চলবে। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা শুভেন্দু অধিকারী ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে গতকাল নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রচার করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর শাহ জনসভায় উপস্থিত থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে গলায় সুর তুলেছেন। তিনি এদিন উপস্থিত জনতাকে বলেছেন, “রাজ্যে পরিবর্তনের রাস্তাটা খুবই সোজা। নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিন। দেখবেন গোটা রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে।”

Advertisement
Advertisement

শাহ নন্দীগ্রাম রোয়াপাড়াতে জনসভা করার পর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি বলেছেন, “আজকের রোড শো দেখে আমি নিশ্চিত যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করবেন। বিজেপির প্রতি মানুষের বিশ্বাস এবং তাদের ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে ভোটের ফল। তবে আমি অনুরোধ জানাবো শুভেন্দুকে এত বড় ব্যবধানে জেতান যাতে ওর বিপক্ষের কেউ কিছু না বলতে পারে।” এছাড়াও তিনি এদিন রাজ্যের নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গ তুলে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে এখন যেখানে আছেন সেখান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে। বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। রাজ্যের নারী নিরাপত্তার হাল কীরকম তা তো পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে।”

Advertisement

এছাড়াও এদিন বিজেপির কাজের খতিয়ান নন্দীগ্রামবাসির সামনে তুলে ধরেছেন অমিত শাহ। তিনি সকলকে মিলে সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার গলাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সোনার বাংলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন আজ তাই তৈরি করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই বাংলায় বন্ধ হবে অনুপ্রবেশ। নাগরিকত্ব দেয়া হবে সিএএর মাধ্যমে। পড়াশোনার সুযোগ বাড়বে। শিল্প প্রতিষ্ঠা হবে রাজ্যে। আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত হবে বঙ্গ।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button