নারীসত্বার জয় জয়কার! নোবেলে ভূষিত হলেন মহিলা কবি লুইস গ্লুক

Advertisement

Advertisement

আমেরিকাঃ আজ যেন মেয়েদেরই দিন, কারণ এবার নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হলেন লুইস গ্লুক। রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমির তরফ থেকে ট্যুইটে গ্লুককে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা হয়েছে, “নির্ভূল কবি কণ্ঠ, অদ্ভুত সৌন্দর্যবোধ একজনকে একক থেকে বহুত্বে নিয়ে যায়”।  ২০১৪ সালে তাঁর শেষ বই ‘Faithful and Virtuous Night’ প্রকাশিত হয়।

Advertisement

এর আগে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন লুইস গ্লুক। পেয়েছেন পুলিৎজার, আমেরিকার ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড। তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই ‘‌দি ওয়াইল্ড আইরিশ’‌ জন্যই পেয়েছিলেন পুলিৎজার। মার্কিন প্রদেশ ম্যাসুচেসটসে ১৯৪৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। পেশায় তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটির ইংরাজির অধ্যাপক।

Advertisement

‘‌ফার্স্ট বর্ন’‌ নামে ১৯৬৮ সালে তিনি প্রথম কবিতাগুচ্ছ প্রকাশ করেন, যা বিশ্বসাহিত্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। তার একাধিক বইয়ের মধ্যে দিয়ে বার বার উঠে এসেছে বেদনা, মৃত্যু, জরা, অবসাদ, বিরহ। এছাড়াও তার কবিতার মাধ্যমে মানুষের অস্তিত্ত্বের চাহিদা, প্রেমের চাহিদা এবং লিঙ্গ প্রসঙ্গ প্রতিফলিত হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শার্পেনটিয়ার এবং জেনিফার এ. ডাউডনা, যারা দুজনেই কিনা এ বছর রসায়নে নোবেল  জিতেছেন। বলা যেতে পারে ওই দুই মহিলার নোবেল জয় নতুন প্রজন্মের মেয়েদের কাছে একটা জোরালো বার্তা। জিনোম এডিটিং-এর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্যই এই দুই বিজ্ঞানী এ বার রসায়নে নোবেল পেলেন, কারণ তাঁরা  আবিষ্কার করেছেন ‘জেনেটিক সিজার’৷

এই প্রথম বার কোন মহিলাকে বিজ্ঞানের জন্য নোবেল দেওয়া হল। কোষের মধ্যে জিন পরিবর্তনের যে কঠিন কাজটি এই দুই গবেষক করেছেন। এই দুই মহিলা বলতে গেলে এক প্রকার অসাধ্য সাধন করেছেন। অনেকেই এখনো মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে থাকেন, তাদের মতে মেয়েরা গৃহের কাজের জন্যই যথাযথ। কিন্তু বলতে গেলে এমানুয়েল শার্পেনটিয়ার এবং জেনিফার এ. ডাউডনা সেই পুরোনো ধারনা ভেঙ্গে দিয়েছেন।

Recent Posts