গত সপ্তাহের বুধবার ঘূর্ণিঝড় যশ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে তার আস্ফালন দেখিয়েছিল। তারপর ঝড়ের প্রভাব কেটে যেতে আবারও ফিরে আসে প্যাচপ্যাচে গরম। কিন্তু তার মাঝেই গতকাল রাত থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অনেকের মধ্যে একটাই প্রশ্ন তাহলে এটাই কি শুরু বর্ষার? এই বিষয়ে মন্তব্য করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তর এর মতে, বর্ষা কখন আসবে তার জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ঘূর্ণিঝড় যশোর হাজির হওয়ার সময় এবং তার গতিপথ। আপাতত নির্ধারিত সময় থেকে দেরিতে বর্ষা আসছে কেরলে। কিন্তু আন্দামানের সঙ্গে কেরলের বা বাংলা বর্ষার আগমন এর সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তাই জুনে নির্ধারিত সময়ে বায়ুপ্রবাহ কেমন থাকে উপর নির্ভর করছে বাংলার বর্ষার আগমন।
আসলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুধুমাত্র যে বাংলা বা ওড়িশার উপকূলে ক্ষতি হয়েছে এমন নয়। এই ঘূর্ণিঝড় কুপ্রভাব ফেলেছে সুদূর কেরলে। চলতি বছরে ১ জুন বর্ষা চালু হওয়ার কথা ছিল ওই রাজ্যে। কিন্তু দেশের মূল ভূখণ্ডে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন হতে দেরি হয়ে গেছে। আশা করা যায় আগামী ৩ জুনের মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটবে এবং শুরু হবে বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় ২ দিন বাদে বর্ষা শুরু হতে চলেছে। তবে বর্ষার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গোটা দেশজুড়ে বর্ষা চালু হতে পারে ৮ জুন। অন্যদিকে বাংলায় বর্ষার শুরু হতে পারে ১৫ জুন।
অন্যদিকে যশ এর প্রভাব কাটতেই বাংলায় ব্যাপক গরম শুরু হয়েছিল। কিন্তু গতকাল সকালেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে খুব শীঘ্রই এই ভ্যাপসা গরম কেটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা বৃষ্টিতে ভিজবে। গতকাল রাতেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ইত্যাদি জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এবং বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর বাংলায় কবে বর্ষা আসবে তা জানা যাবে শীঘ্রই। তবে আজ সকালের বৃষ্টিপাত যে প্রাক বর্ষার ইঙ্গিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।