বৈমানিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে ISRO তে যোগদানের লক্ষ্যে এগোচ্ছে , সবজি বিক্রেতার কন্যা

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বাবা-মা সবজি বিক্রেতা, কিন্তু কন্যার রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে বৈমানিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। স্বপ্ন ইসরো তে যুক্ত হওয়ার। মা-বাবার সঙ্গে ভোর চারটে না বাজতে বাজতেই এই ছোট্ট মেয়েটি বাজারে গিয়ে বসে। বাজার বিক্রিতে সাহায্য করার পাশাপাশি সেখানে গিয়ে সে পড়াশোনাও করে। তারপরে ব্যাঙ্গালোরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এসে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার মত মেয়ে সত্যি কথায় পরিবারের গর্ব।

Advertisement

এই ছোট্ট মেয়েটির নাম ললিতা যার বয়স মাত্র ২২ বছর। কিন্তু চোখে রয়েছে অনেক রঙিন স্বপ্ন। ললিতা এই প্রথম তার পরিবারের স্নাতক পাস করা মেয়ে। তবে ললিতার বক্তব্য তার এই সাফল্যের পিছনে পুরোটাই রয়েছেন তার মা-বাবা। তার বক্তব্য মা-বাবার সবজি বিক্রেতা হওয়ার দরুন তাদের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ললিতার পড়াশোনার দিকে কিন্তু মা-বাবা কোনরকম খামতি রাখেনি। মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই ছোট্ট মেয়েটি তার বন্ধুদের, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি। যখন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে মেয়েটির কাছে, সে বলেছে তার স্বপ্ন হলো ইসরো তে মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করার।

Advertisement

এমন অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনো বাধায় যে বাধা হতে পারে না আমরা উপরেই ঘটনাটি পড়ে বুঝতেই পারছি। জীবনে সফল হতে গেলে পথের মধ্যে কাটা পড়ে থাকবেই, কিন্তু সেই কাঁটা গুলোকে একটা একটা করে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।

Advertisement

Recent Posts