Categories: দেশনিউজ

যারা বিজেপিতে যেতে চান না তাদের জন্য কংগ্রেসে স্বাগত, অসম থেকে বার্তা অধীর চৌধুরীর

Advertisement

Advertisement

গুয়াহাটি: একের পর এক নেতা, মন্ত্রীর দলত্যাগ। বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কিছু অংশও দল ছাড়ছে। আজ ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লাও। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়লেন না কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তৃণমূলকে অধীরের কটাক্ষ, ‘তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু দিন পর দলটাই আর থাকবে না।’

Advertisement

আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরে সাংবাদিক সম্মেলনে লক্ষ্মীরতন শুক্লার তৃণমূল ত্যাগের প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘তৃণমূলের এখন অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। যাঁরা তৃণমূলে থাকতে পারছেন না, কিন্তু বিজেপি-তে যেতে চান না, তাঁরা কংগ্রেসে আসুন। যোগ দিন।’ এ দিন  আইন শৃঙ্খলার অবনতি, কৃষি আইন, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে বাঁকুড়া শহরে মহামিছিল করেন অধীর।

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘ যেভাবে ওই দলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ দল ছেড়ে পালাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট, তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ আর দিদির হাতে নেই। এই মুহূর্তে বাংলায় বিজেপিকে একমাত্র ঠেকাতে পারে জাতীয় কংগ্রেস। তাই তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী মানুষকে আমাদের দলের ছত্রছায়ায় আসুন।’

Advertisement

এরপরেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে অধীর তৃণমূল ও বিজেপি– উভয়ের সমালোচনা করে বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্র, কোনও সরকারই কৃষকদের নিয়ে ভাবিত নয়। তৃণমূল-বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলই এ রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে জুয়া খেলছে। ওরা কৃষকদের নিয়ে ভাবলে দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের যেমন পড়ত না, তেমনই এ রাজ্যে কৃষকদের দূরবস্থার মধ্যে পড়তে হত না।

এদিন কংগ্রেসের মহামিছিল বাঁকুড়া শহরের হিন্দু স্কুল থেকে শুরু হয়ে মাচানতলা ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডে শেষ হয়। অসংখ্য সাধারণ কর্মীর সঙ্গে মিছিলে পথ হাঁটেন অধীর চৌধুরী নিজেও।

Recent Posts