Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

নিজের শরীরের মেদ নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগেছেন ঋতাভরী! অকপট স্বীকার অভিনেত্রীর

অনেকদিন ধরেই লড়াই করছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি দুটি সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এতদিনে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। অসুস্থতার মধ্যেও নিজের পড়াশোনা ও করে বিদেশের ইউনিভার্সিটিতে প্রথমও…

Avatar

By

অনেকদিন ধরেই লড়াই করছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি দুটি সার্জারির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এতদিনে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। অসুস্থতার মধ্যেও নিজের পড়াশোনা ও করে বিদেশের ইউনিভার্সিটিতে প্রথমও হয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এর মাঝেও ঋতাভরী লড়াই করছিলেন ডিপ্রেশনের সঙ্গে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সক্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। নিজের অনুরাগীদের মন ভালো করতে একের পর এক পোস্ট করে থাকেন অভিনেত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষের মন ভালো করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন অভিনেত্রী তবে এর মাঝেও মনের কষ্টের কথা কোনোদিন কাউকে জানতে দেননি। এবার নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে মানসিক অবসাদ কাটিয়ে ওঠার কথা জানালেন অভিনেত্রী।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

বরাবর অভিনেত্রী সিনেমার মতো বাস্তবেও প্রাণোচ্ছ্বল এবং চনমনে থাকতে পছন্দ করেন। তবে এর মাঝে হাসিমুখে ছবি দিলেও অভিনেত্রীর এই মুখের পিছনে ছিল একটা অবসাদগ্রস্ত মন। সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রামে নিজের অনুগামীদের সাথে এক কঠিন লড়াইয়ের গল্প ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। জিমের পোশাকের সাথে একটা মিরর সেলফি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৩ সাল থেকে আমি অনেক ডায়েট ও ওয়ার্কআউট মেনে চলতাম। মেদ জমেছে কি না দেখার জন্য রোজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতাম। শরীরে মাপ ৩৬-২৬-৩৬ আছে কিনা তা নিয়ে খুব সতর্ক ছিলাম। কিন্তু ৮ মাস আগে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং দুটো সার্জারি হয়। এই সময়ে আমি নড়তেও পারতাম না। অধিকাংশ সময় বিছানাতেই থাকতে হত। ভাবতাম কখন যন্ত্রণা শেষ হবে’।

তিনি আরও লেখেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল ভাবেই হয়েছে। কিন্তু এর জেরে তিনি নানাভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন, যা কাটিয়ে ওঠার এখনও চেষ্টা করছেম তিনি। তিনি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু তাঁর উচ্চাকাঙ্খা ও কর্মপ্রেম সত্ত্বার ধৈর্য্য কম। এ‌টা পোস্ট করার কারণ, তোমাদের বলতে চাই শারীরিক যন্ত্রণা নয়, মানসিক অবসাদ থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করছি। অবসাদ তাঁর সবকিছু থেকে চুপ করিয়ে দিয়েছিল’।

ঋতাভরী আরো জানিয়েছেন, তিনি এখনও অবসাদ নিয়ে মুখোমুখি কথা বলার পরিস্থিতে পৌঁছাননি কোনোভাবে। তবে খুব শীঘ্রই নিজের অনুগামীদের সাথে বিস্তারিত এই নিয়ে কথা বলবেন, কীভাবে তিনি এই পরিস্থিতি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অনুগামীদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘সবসময় পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আমি তোমাদের ভালবাসি এবং তোমাদের ভালবাসাকে মর্যাদা করি। আমি পর্দায় খুব বড় ভাবে তাড়াতাড়ি ফিরব। কিন্তু এখন শুধু সুস্থ হতে চাই নিজেকেই আরও ভাল করে গড়ে তুলতে চাই’। এরপর অনুগামীরাও অভিনেত্রীর তাড়াতাড়ি সুস্থতা কামনা করেছেন।

About Author