নিয়ম ভাঙলেন রোজার, রক্ত দিয়ে শিশুর প্রান বাঁচালেন এক যুবক

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – কয়েকদিন আগে এই একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে নদীয়ার বাসিন্দা মৌমিতা বিশ্বাস। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও মঙ্গলবার থেকে শিশুটির প্রয়োজন হয় রক্তের। প্রয়োজন ‘O’ নেগেটিভ রক্ত। চিন্তার ভাঁজ পড়ে দম্পতির কপালে। গাড়ি ঘোড়া চারিদিকে বন্ধ কি করেই বা জোগাড় করবেন তার সন্তানের জন্য রক্ত?

Advertisement

পরিশেষে এগিয়ে আসেন এক যুবক। নাম সপ্তর্ষি বৈশ্য। ইনি সন্তানের বাবা মৃত্যুঞ্জয়ের পরিচিত একজন মানুষ। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে রক্তদ্বাতাদের গ্রুপে এই খবরটি শেয়ার করলে খোঁজ পেয়ে যান উদ্ধারকর্তার। রিপন স্ট্রিট থেকে এগিয়ে আসেন মিসবাহ আহমেদ। নদীয়ার এই দম্পতির কাছে তিনি যেন ঈশ্বর স্বরূপ। রিপন স্ট্রিট থেকে হেঁটেই চলে আসেন এন আর এস হাসপাতালে। মুসলিমরা এখন প্রত্যেকেই রোজা রাখছেন। ইনিও রেখেছিলেন। কিন্তু রক্ত দিতে হলে উপবাস করে দেওয়া যাবে না, তাই রোজা ভেঙে একটি কলা ও জল খেয়ে শেষমেশ শিশুদের জন্য রক্ত দেন।

Advertisement

মিসবাহ জানিয়েছেন, তার বন্ধু এবং আত্মীয় পরিজন সকলকেই বলে রাখা আছে কারুর যদি ‘0’ negative রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে যেন তাকে ডাকা হয়। কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান।’ শিশুটি বুঝতেই পারল না তার জন্য দুটো ধর্ম একাকার হয়ে গেল। মনুষ্য ধর্ম সকলের উপরে তার উপরে কিছু নয়।

Advertisement

Recent Posts