মৃতদেহের হদিশ নেই ফের একবার কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: কেটে গেছে দু’মাস। তবুও হদিশ মেলেনি মৃতদেহের। পাওয়া যায়নি ডেথ সার্টিফিকেটও। এমনকি হাসপাতাল, পুলিশ, শ্মশান বা মর্গ কোথাও গিয়ে কোনও খোঁজ মেলেনি। অভিযোগ করা হলেও কার্যত হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে পরিবারকে। এরকমই এক নির্মম ঘটনার কারণে ফের কাঠগড়ায় উঠলো কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

Advertisement

মৃতের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৭ জুলাই মেডিক্যালে আনা হয় এয়ারপোর্ট দু-নম্বর গেটের বাসিন্দা ৫৪ বছরের প্রশান্ত ঘোষকে। মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় গোটা পরিবারকে। তাঁদের দাবি কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে আর হদিস মেলেনি প্রশান্ত ঘোষের দেহের।

Advertisement

প্রশান্ত ঘোষের ভাই এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘দাদার করোনা হয়েছিল। আমরা সেই কারণে তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু রাস্তাতেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। তারপর মৃতদেহ রেখে আমাদেরকে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টাইন থেকে ফেরার পর দাদার মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে কিনা খোঁজ নিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় ধাপার মাঠে খোঁজ নিতে। সেইমতো ধাপার মাঠে গেলে তারা বলে এই নামের কোনও ব্যক্তির মৃতদেহ দাহ করা হয়নি। আবার হাসপাতালে ফিরে এলে তারা আমাদের কথায় আমল দেয়নি। কিছু বুঝতে না পেরে বউবাজার থানায় গেলে তারা আবার হাসপাতালে ফেরত পাঠায়। এভাবেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। এখনও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।’

Advertisement

গোটা ঘটনার আলোকপাত করা হলে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেই সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া কোনওভাবেই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বারবার কেন করোনা পরিস্থিতিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল খবরের শিরোনামে উঠে আসছে, সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে।