সঞ্জয় রাউতের পাশাপাশি উদ্ধব ঠাকরেকেও হুমকি ফোন দিয়েছিলেন টালিগঞ্জের এই অভিযুক্ত

Advertisement

Advertisement

কলকাতা : কঙ্গনার হয়ে সঞ্জয় রাউতকে ধমকি দেওয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকেও ফোন করে গালিগালাজ করেছিলেন টালিগঞ্জের ওই অভিযুক্ত যুবক। প্রসঙ্গত, শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কলকাতার এক বাসিন্দাকে আজ গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।

Advertisement

ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ করা হয়েছে। কলকাতার ওই বাসিন্দা পলাশ বসু পেশায় একজন জিম প্রশিক্ষক। সূত্রের খবর কঙ্গনার সাথে এই ঘটনার পর এদিন পলাশ সঞ্জয় রাউতকে ফোন করেন। এমনকি ফোন করে কঙ্গনার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। আর এই ঘটনার পরই পলাশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় মুম্বাই পুলিশ। পলাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও রুজু করা হয়েছে। তাঁকে পেশ করার জন্য ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডও চেয়েছে মুম্বই পুলিশ।

Advertisement

জানা গিয়েছে এর আগে পলাশ দুই বছর দুবাইতেও কাজ করেছেন।  এমনকি ফোনে দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে সঞ্জয় রাউত ও উদ্ধব ঠাকরেকে হুমকি দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে তিন থেকে চার বার ফোন আসে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতোশ্রী-র ল্যান্ডলাইনে৷ ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন৷ ফোন আসা মাত্রই বলা হয় দুবাই থেকে ফোন করা হয়েছে, কলার দাউদ ইব্রাহিম৷

Advertisement

উদ্ভব ঠাকরেকে ফোন করা ওই ব্যাক্তি জানান মুম্বাইয়ে উদ্ভব সরকার যা কাজ করছে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, সময়মতো নিজেকে শুধরে না নিলে উদ্ধব ঠাকরেকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে৷ আর এরপরেই প্রকাশ্যে আসে আসল সত্য। কিন্তু এই ঘটনার ভিত্তিতে অভিযুক্তের আইনজীবী জানিয়েছেন,  মুম্বইতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর সঞ্জয় রাউত একটা ফোন পান এবং তার ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছিল মুম্বই আন্টি টেররিস্ট স্কোয়াড।