Categories: দেশনিউজ

ভয়ংকর! শ্মশান থেকে মৃতদেহের কাপড় খুলে বিক্রি হত দোকানে, পুলিশের জালে ৭

উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায় এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে

Advertisement

Advertisement

করোনা সংক্রমনের জেরে উত্তাল গোটা দেশ। প্রতিদিন মৃত্যুহার বাড়াতে লাইন লেগেছে শ্মশানগুলির বাইরে। তবে এরই মাঝে অবাক করা ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলায়। জানা গিয়েছে, এই এলাকার একাধিক শ্মশান এবং সমাধিস্থল থেকে মৃতদের পোশাক চুরি করত একদল। গতকাল করোনা মৃতের সংখ্যা গুনতে গিয়ে পুলিশ দেখে কোনো মৃতদেহের গায়ে কোনো কাপড় নেই। তা দেখে তদন্তে নেমে পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে যারা শ্মশান এবং সমাধিস্থল থেকে মৃতদেহ থেকে কাপড় খুলে চুরি করে নিত।

Advertisement

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “একদল চোর এলাকার বিভিন্ন শ্মশান ও সমাধিস্থলে গিয়ে মৃতদেহের শরীর থেকে শাড়ি অন্যান্য পোশাক, গয়না এবং দেহ ঢেকে রাখার সাদা চাদর চুরি করত। এই ঘটনার দায়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে জানা গেছে ৫২০টি চাদর, ১২৭ কুর্তা, ৫২টি সাদা শাড়ি ও অন্য আরও কিছু পোশাক তারা চুরি করেছিল। পুলিশ চুরি যাওয়ার সমস্ত জিনিস ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে।” তবে প্রশ্ন উঠছে যে শ্মশান থেকে মৃতদেহদের খোলা কাপড় চুরি করে তারা কি করত?

Advertisement

আসলে জানা গিয়েছে, ওই চোররা পোশাকগুলিকে ভালোভাবে গেছে গোয়ালিয়রের একটি বস্ত্র কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে দোকানে বিক্রি করে দিতো। এমনকি এলাকার বিভিন্ন দোকানের সাথে তাদের চুক্তি ছিল। দরকার মতো তারা কাপড় চুরি করে পরিষ্কার করে দোকানগুলোতে বিক্রি করে দিত। প্রতিদিন এই কাজ করার জন্য তারা পারিশ্রমিক পেত ৩০০ টাকা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই চোরেদের মধ্যে ৩ জন একই পরিবারের ছিলেন। তারা প্রায় প্রত্যেকেই গত ১০ বছর ধরে এই কাজ করছে। কিন্তু কোনদিন ধরা পড়েনি। তবে এবার করোনা রোগীদের লাশ সংখ্যা গুনতে গিয়ে পুলিশের চোখে পড়ে এই অদ্ভুত ঘটনা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অতিমারির আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement