রাজ্য

কমেছে বেতন, মিলছে না মহার্ঘ ভাতা, কলকাতার বুকে বিস্ফোরক আন্দোলনকারীরা

এবার মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে আন্দোলনে বসেছেন চারজন সরকারি কর্মী

Advertisement

Advertisement

মহার্ঘ ভাতার দাবীতে আমরণ অনশনে বসেছেন চারজন সরকারি কর্মী। প্রাথমিকভাবে ১৫ জন সরকারি কর্মী আগ্রহ প্রকাশ করলেও তার মধ্যে থেকে চারজনকে বেছে নেওয়া হয় এই অনশনের জন্য। শুক্রবার মহার্ঘভাতা নিয়ে আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছিলেন কলকাতার রাস্তাতে। মিছিলের পর একটি সমাবেশ হয়। অবশ্য এর কয়েকদিন আগে মহার্ঘ ভাতা আন্দোলনকারী সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিতে চলেছেন তারা। এই সময় কালের মধ্যে যদি সরকার উচ্চপদস্থ কোন আমলা বা সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে, তাহলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এই মত এবারে চারজন সরকারি কর্মী আমরণ অনশনে বসেছেন।

Advertisement

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০ ডিসেম্বর দুপুর একটার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের কোন উচ্চপদস্থ কর্মীকে আন্দোলনের স্থলে আসতে হবে এবং কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যান নি কোন সরকারি আমলা। এই আবহেই শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে অনশন শুরু করেন সরকারি কর্মীরা। এর আগে যদিও গত শুক্রবার কলকাতার বুকে মিছিল করেছিলেন মঞ্চের সদস্যরা। শিয়ালদা এবং হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হয় মিছিল।

Advertisement

আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, যদি কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে অনশনকারীদের সংখ্যা বাড়তে পারে। এদিকে ভাস্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, ২৯ তারিখ থেকে লাগাতার ধর্মঘট করতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। এর পাশাপাশি আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছেন তিনি। তবে সেই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত খোলসা করে তিনি কিছু জানাননি। এদিকে মহার্ঘভাতার পাশাপাশি শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি তুলেছেন ভাস্কর ঘোষ। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার বিষয়টা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে থাকা বিভিন্ন অস্থায়ী শিক্ষকের বেতন এক ধাক্কায় পাঁচ হাজার টাকা কমিয়ে দিয়েছে সরকার। অনেক অস্থায়ী কর্মী মহার্ঘ ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন। ২০২৩-এ নোটিফিকেশন অনুযায়ী, বহু অস্থায়ী কর্মীর মহার্ঘ ভাতা বাড়েনি বলেই সরকারি সূত্রে খবর

Advertisement

অনশন প্রসঙ্গে ভাস্কর ঘোষ আরো বলেন, ‘ এর আগেও আমি অনশন করেছিলাম। আমি নিজে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম একাধিকবার। পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত জল খেয়ে থাকা যায়। কিন্তু তারপর আর শরীর দেয় না। আমার নিজের শরীরের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। সেই কারণেই আমি এখন আর অনশনে বসতে পারিনি। আমি চেকআপ করার পরে আবারও অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেব। তবে কথা দিচ্ছি আমি সরকারকে ছেড়ে দেবো না। এই সরকারের বিরুদ্ধে যত রকম ভাবে সম্ভব লড়াই চলবে। পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী দলকে আগামী ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

Recent Posts