খেলা

ENG vs NZ: স্লিপে ৬ ফিল্ডার! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অদ্ভুত রণকৌশল ইংল্যান্ডের

একই ফর্মুলা ব্যবহার করে মিডল অর্ডারে লম্বা পার্টনারশিপ ভাঙে ইংল্যান্ড। ফোকসের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১০৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ডেরিয়্যাল মিচেল।

Advertisement

Advertisement

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে আরও একটি বিস্ময়কর রণনীতি দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। বর্তমানে লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে তিন টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলা হচ্ছে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে, নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে পুরো দল তাদের প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়। তবে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংও বিশেষ ছিল না। নিউজিল্যান্ডের ১৩২ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের দলও মাত্র ১৪১ রান করতে পারে এবং মাত্র ৯ রানের সামান্য লিড নিতে পারে।

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে নিউজিল্যান্ড খুব একটা ভালো শুরু করতে না পারলেও মিডল অর্ডারে ইংল্যান্ডের জন্য শক্তিশালী পার্টনারশিপ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের মধ্যে দীর্ঘ পার্টনারশিপের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। আর ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের মধ্যে দীর্ঘ এই জুটি ভাঙতে তৎপর হয়ে ওঠেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস।

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে নিউজিল্যান্ডকে প্রতিপদে আঘাত করতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ছয় ফিল্ডারকে স্লিপে রাখার কৌশল নিউজিল্যান্ডের জন্য খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জেমস অ্যান্ডারসন মাত্র পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়ংকে আউট করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে একটি দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন এবং তারপরে চতুর্থ ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রড ডেভন কনওয়েকে তিন রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন।

Advertisement

এরপর ওই একই ফর্মুলা ব্যবহার করে মিডল অর্ডারে লম্বা পার্টনারশিপ ভাঙে ইংল্যান্ড। ফোকসের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১০৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ডেরিয়্যাল মিচেল। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ২৮৫ রান করতে সক্ষম হয়।