চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নয়া মিউট্যান্ট স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি ভয়াবহ। এতে একদিকে যেমন সংক্রমণ বেড়ে গেছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। গোটাদেশে শুধুমাত্র শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ হয়েছে সাড়ে ৩ লাখের কাছাকাছি। বেহাল অবস্থা দেশের রাজধানীর। সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। দিল্লিতে একদিকে দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে প্রায় ২৪ হাজার। বেড পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতলে। অক্সিজেনের ঘাটতিতে মৃত্যু হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে একটি বেডে ভর্তি ২-৩ জন রোগী। সেই সাথে এই রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা জ্বলছে চিতার আগুন।
কেজরিওয়াল সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লিতে প্রতি ঘন্টায় মৃত্যু হচ্ছে ১২ জনের। কিছুদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৫। রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাব ও করোনা রোগীদের বেডের অভাব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। করণা আক্রান্তদের চাপে রীতিমতো স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যে ২৪ ঘন্টা গনচিতা জ্বলছে। করোনা ভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের ঢেউয়ে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowদিল্লি সরকারের হিসাব অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে ১৭৭৭ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার ২৪০ আক্রান্তের, মঙ্গলবার ২৭৭, বুধবার ২৪৯, বৃহস্পতিবার ৩০৪, শুক্রবার ৩৪৮ জনের ও শনিবার ৩৫৭ জনের অধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। করোনার ভয়াবহতা দেখে ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকার তাদের লকডাউন ৩ মে অবধি বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।