বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধ, উত্তপ্ত তুফানগঞ্জ

Advertisement

Advertisement

বাংলায় গেরুয়া শিবিরের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এসেই সাথে সাথে উত্তরবঙ্গে ছুটে গিয়েছেন অমিত মালব্য। বুধবার তথা গতকাল শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার নেতাদের সাথে ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা ও করেন তিনি। এরই মাঝে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে জ্বলে উঠেছে গোটা উত্তরবঙ্গ। যার প্রতিবাদে কোচবিহার তুফানগঞ্জে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। আর এই বনধ কে ঘিরে উত্তপ্ত হচ্ছে গোটা এলাকা। সকাল থেকেই মানুষের যাতায়াত বেশ কম বলে সূত্রের খবর। সাথে খোলেনি দোকানপাট ও। টায়ার জ্বালিয়ে করা হচ্ছে প্রতিবাদ।

Advertisement

অভিযোগ নাককাটিগাছ এলাকার পূর্ব শিকারপুরে বুধবার সকালে খুব করা হয়েছে একজন বিজেপি কর্মীকে। জানা গিয়েছে সেই কর্মীর নাম কালাচাঁদ কর্মকার। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, নিহত কালাচাঁদ কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবার সূত্রের খবর, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বিজেপি জেলা নেতৃত্ব হতে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক শিবিরের ওপরে। তাদের মতে, এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। স্থানীয় সূত্রের খবর মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ২ টি ক্লাবের মধ্যে শুরু হয়েছিল অশান্তি। সেই বিবাদ থামাতে গিয়েই দুষ্কৃতীদের শিকার হতে হয় কালাচাঁদকে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের নামে ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগানোর অভিযোগ ও এনেছে শাসক শিবির।

Advertisement

বুধবার মৃত বিজেপি কর্মীর দেহ সামনে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদের কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ডাকা হয় ১২ ঘণ্টার বনধ। সেই বনধ নিয়েই উত্তরবঙ্গে শুরু হয় সমস্যা। ক্রমে উঠতে থাকে উত্তেজনার পারদ। এই বিষয়ে টুইটে তৃণমূল সরকারের দিকে বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কে।

Advertisement

তবে বিজেপি খুনের এই অভিযোগ প্রথম নয়। আগেও বহুবার শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে কর্মী খুনের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে ৮ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির। বুধবার শিলিগুড়িতে এ কথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা।