স্বাধীনতার ৭২ বছর পার, কেমন আছেন দেশের মানুষ!

Advertisement

Advertisement

অরূপ মাহাত: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭২ বছর আগে। তৈরী হয়েছে দেশের সংবিধান। যা পৃথিবীর বৃহত্তম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সেই সংবিধানে দেওয়া অধিকারের কতটুকু ভাগ পায় সাধারণ মানুষ। নিজেদের অধিকার নিয়ে কতটুকুই বা সচেতন তাঁরা। আসুন একবার দেখি নিই কেমন আছে আমার দেশ? কেমন আছেন দেশের মানুষ?

Advertisement

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন কতটুকু উপভোগ করেন সাধারণ পেশার মানুষ? সেই উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করবো এই কয়েকদিনে। আজ প্রথম পর্বে খোঁজ নেব সেলসের অন্দরমহলে। বর্তমান প্রজন্মের একটি অন্যতম পেশা সেলসম্যানের কাজ। প্রতিটি বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এই পেশার মানুষেরা। স্বাধীনতার অর্থ খুঁজতে তাদের কাছাকাছি পৌছে কী পেলাম, তারাই বা কী বিশ্বাস করে স্বাধীনতা মানে? সেসবই তুলে ধরবো। স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় বিষয় সাংবিধানিক অধিকার পাওয়া। কিন্তু এই পেশার মানুষেরা কতটুকু অধিকার পায়? এ বিষয়ে প্রশ্ন করায় অবাক হলেন ঝাড়গ্রামের এক বছর পঁচিশের যুবক, বিগত তিন বছর ধরে তিনি এই পেশার সাথে যুক্ত অথচ জানেনই না তাদের কী কী অধিকার রয়েছে। দীর্ঘদিন সেলসম্যানের কাজে যুক্ত এক যুবক জানালেন তাদের প্রতি বঞ্চনার কথা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও এখনও তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন অফিস নেই। রাস্তার ধারে গাছের ছায়া তাদের জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা। ঠিক থাকে না কাজের সময়ের। টার্গেট পূরণের নেশায় নিতে হয় প্রাণের ঝুঁকি, তারপরও বসকে সন্তুষ্ট করে না চললে জোটে বকুনি। আর কাজের সম্মান? সে সব না বলায় ভালো। ছেলে সেলসম্যানের কাজ করে শুনে আত্মীয়দের তেরছা চাহনি ফালাফালা করে যায় বুকের ভেতর।

Advertisement

আসলে স্বাধীনতার এত বছর পরও সব কাজকে সমান ভাবে দেখার মানসিকতা তৈরী করতে পারেনি আমাদের দেশ। নির্দিষ্ট কয়েকটি পেশার বাইরে কাজ করাকে আজও সম্মান দিতে পারে না সমাজ। তাই এই সব পেশার মানুষের কাছে স্বাধীনতা, অধিকার, সাম্যবাদ বড় কৌতুকের বিষয়।

Advertisement