স্বাদীনতার কথা : ক্ষুদিরাম বসু

Advertisement

Advertisement

“একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী”

Advertisement

মোজাফফরপুরে শুরু হলো ক্ষুদিরামের বিচার। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্ভীক ক্ষুদিরাম স্বীকারোক্তি দিলেন তিনি কিংসফোর্ডকে হত্যার জন্য বোমা নিক্ষেপ করেছেন। তার দুর্ভাগ্য যে অত্যাচারী কিংসফোর্ডের মৃত্যুর বদলে নির্দোষ কেনেডি মৃত্যুর জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। রক্তপাতে তিনি কোন অপরাধ বলে মনে করেন না। যথারীতি বিচারে ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ড দণ্ডাদেশ হয়। আত্মীয়দের পীড়াপীড়িতে হাইকোর্টে আপিল করা হলো। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার জন্য আবেদন গ্রাহ্য হল না। ফলে তৈরি হলো ফাঁসির মঞ্চ ১৯০৮ সালের ১১ ই আগস্ট ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়ে গেল। ভারতের বিপ্লব ইতিহাসের প্রথম শহীদ ক্ষুদিরাম। ১৮ বছর আগে এক মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় জন্মেছিলেন এই মৃত্যুঞ্জয় বীর।আঠারো বছর পরে আর এক মঙ্গলবার সকালে ক্ষুদিরাম হারিয়ে গেলেন। ফাঁসির দড়িতে টান দিলে জল্লাদ।ক্ষুদিরাম গড়িয়ে গেলেন মৃত্যুকূপে। কয়েকবার দড়িটা কেঁপে কেঁপে উঠল তারপর সব স্তব্ধ। কাতারে কাতারে নর-নারীর দাঁড়িয়েছিল পথের দু’ধারে শেষবারের মতো দেখার জন্য।

Advertisement

Recent Posts