‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করে বোমা, গুলির কথা বলুন, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে সায়ন্তন!

Advertisement

Advertisement

রাজীব ঘোষ : দিদিকে বলো কর্মসূচিতে মানুষের ব‍্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।তাদের কথায় এই পর্যন্ত রাজ‍্যের বহু সংখ্যক মানুষ দিদিকে বলো-তে ফোন করে বিভিন্ন অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন।তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এবার এই কর্মসূচিতে ব‍্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।বিজেপির নেতারা তাদের দলের আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দিদিকে বলো-তে ফোন করে রাজ‍্য জুড়ে বোমা, গুলি নিয়ে আক্রমণের কথা জানাতে বলেছেন।বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এই বিষয়ে প্রশ্ন করে বলেন, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দিদির ফোনে ফোন করে এই কথা কেন জানাতে পারবেন না?

Advertisement

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোল এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছোঁড়া হয়।বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে।এই হামলায় বিজেপির ছয়জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।সেই ঘটনার পর ওই এলাকায় কর্মী সমর্থকদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সারা রাজ‍্য জুড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।রাজ‍্যের পুলিশ এবং তৃণমূলের মাফিয়ারা একসঙ্গে তাদের দলের কর্মীদের অত‍্যাচার করছে।

Advertisement

পুলিশ ও দুস্কৃতীরা বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।তাই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দিদিকে বলো কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাশাপাশি তাদের উপর বোমা, গুলি নিয়ে হামলার কথা বলবেন।কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদিকে বলো পোর্টালের মাধ্যমে রাজ‍্যে জনসংযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।কারণ অনেক তৃণমূল নেতা কর্মীদের কথায়, সাধারণ মানুষের থেকে তৃণমূল অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে।তাই দলের পক্ষ থেকে এই চেষ্টা শুরু হয়েছে।

Advertisement

এদিকে তৃণমূলের এই দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।রাজ‍্যের মন্ত্রী ও দাপটে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের এলাকায় এই কর্মসূচি নিয়ে বিধায়ক সুদর্শন ঘোষদস্তিদারের সঙ্গে ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।তারা দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে আলাদা ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

এই উদ্যোগ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙর এলাকাতেও।সেখানে মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা সাংবাদিক বৈঠক করলেও সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন না।ফলে দলের মধ্যে এই অবস্থা হলে আগামী দিনে দিদিকে বলো উদ‍্যোগের বিষয়ে সমস্যা তৈরী হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Recent Posts