নিউজরাজ্য

কর্মক্ষেত্রে আমার কোনো বন্ধু নেই, হঠাৎ করে কেন একথা বলছেন ফিরহাদ হাকিম?

কলকাতা পৌরসংস্থার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যে প্রতারণা চক্র চলছিল, সেই প্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন ফিরহাদ হাকিম

Advertisement
Advertisement

কিছুদিন আগে থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিলো, কলকাতা পৌরসংস্থার চাকরি দেওয়ার জন্য নাকি বেশকিছু প্রতারক বেশ অনেক জনের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়েছে। তারপরেই এবারে প্রতারকদের বিক্রি করা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একটি ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে তার কোনো রকম প্রতিনিধি বা বন্ধু কেউ নেই। এছাড়াও এই প্রতারক এর বিরুদ্ধে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement
Advertisement

একটি ফেসবুক পোস্টে ফিরহাদ হাকিম লিখেছেন, “‌কর্মক্ষেত্রে আমার কোনও বন্ধু নেই, কোনও আত্মীয় নেই। আমার কোনও প্রতিনিধি নেই। আমার নাম করে অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে কেউ যদি কোনও সরকারি পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ঠগ, জালিয়াত। কেউ যদি প্রলোভোনে পা দেন, সেই দায়িত্ব একান্তই তাঁর নিজের। কোনও ঠগবাজ অর্থের বিনিময়ে যদি কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়, সেক্ষেত্রে থানায় অভিযোগ করুন।”

Advertisement

Advertisement
Advertisement

তবে শুধু এই নয়, এর আগে অনেকবার ফিরহাদ হাকিমকে দেখা গেছে, প্রতারকদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে। তিনি এর আগেও বহুবার প্রতারক বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন। গত শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কোন প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে কলকাতা পুরসংস্থায় চাকরি পাওয়া যায় না। পুরনিগমের চাকরি পেতে হলে আপনাকে সরকারি চাকরির পরীক্ষা মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা দিয়ে তারপর পেতে হবে। পরীক্ষায় ভালো ভাবে পাশ করলে তবেই চাকরি পাওয়া যায়। প্রতারককে চিহ্নিত করে মানুষের হাতে তুলে দিন।”

যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা কলকাতা পৌরসংস্থার কোন একজন এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেই পরিস্থিতিতে কলকাতার পুরপ্রশাসকরা এই ধরনের মন্তব্য করছেন, যা এই মুহূর্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা পৌরসংস্থার চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে জানা গিয়েছে ৩৫ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রতারকেরা। ইতিমধ্যেই প্রতারকেরা বেশ কয়েক হাজার টাকা সরিয়ে নিয়েছেন বলেও খবর। এখন দেখা যাক পুলিশ কত তাড়াতাড়ি এই ঘটনার তদন্ত করতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button