টলিউডবিনোদন

বাবার অত্যাচারে জর্জরিত ইউভান, চুপ করে সহ্য করছে একরত্তি খুদে, ভাইরাল ভিডিও

Advertisement
Advertisement

করোনা আবারও ফিরে এসেছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)-র পরিবারে। গত বছর করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজের বাবা কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী (krishnashankar chakraborty)। সেই সময় রাজের শরীরেও পাওয়া গিয়েছিল করোনার ভাইরাস। গত বছর শুভশ্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন শুভশ্রীও। তিনি আরবানাতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। এখনও অবধি সুস্থ রয়েছে ইউভান। কিন্তু কখনও কোনো শিশু কি তার মা-কে ছেড়ে থাকতে পারে? তাই ইউভানের মন খারাপ মায়ের কাছে যেতে না পেরে। শুভশ্রীরও মন খারাপ ইউভানকে কাছে না পেয়ে। ফলে শুভশ্রী ইউভানের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, মাকে ছাড়া তাকে আর কতদিন থাকতে হবে! এখানেই ঘটেছে বিপত্তি। নেটিজেনরাও বুঝতে পারছেন ইউভানের কষ্ট। নেটিজেনদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, কি প্রয়োজন ছিল স্বামীর সঙ্গে শুভশ্রীর প্রচারে যাওয়ার? অনেকে বলছেন ইউভানের কথা না ভেবেই কিভাবে বেরিয়ে পড়লেন শুভশ্রী! একজন নেটিজেন বলেছেন, শিক্ষিত মানুষরা যদি এরকম করেন, তাহলে বলার কিছুই নেই। তবে অনেকেই শুভশ্রীর সুস্থতা কামনা করেছেন। এর মধ্যেই কয়েকজন ইউভানের স্তন‍্যপান নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। কিন্তু শুভশ্রী এবারেও চুপ করেই থেকেছেন।

Advertisement
Advertisement

ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর নির্বাচন শেষ করে রাজ ফিরে এসেছেন বাড়িতে। তিনি ও তাঁর মা এখন সামলাচ্ছেন ছোট্ট ইউভান (yuvan)-কে। ইউভানের ঠাকুমা ইউভানকে দুটো ঝুঁটি করে চুল বেঁধে দিয়েছেন। রাজ ইউভানকে কোলে নিয়ে আদর করছেন। কিন্তু একরত্তি শিশুর চোখ খুঁজে চলেছে তার মাকে। কারণ প্রতি মুহূর্তে বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ইউভান।

Advertisement

ইউভানের উপর রাজের অত্যাচারের একটি ভিডিও সম্প্রতি শেয়ার করা হয়েছে শুভশ্রীর ফ্যান পেজ থেকে। সকাল থেকে বাবার ভালোবাসার অত্যাচারে ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে ইউভান। বিছানায় সাত মাসের ইউভানকে শুইয়ে আদরে ভরিয়ে দিয়ে রাজ বলছেন এভাবেই আজীবন বাবার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতে হবে ইউভানকে। ইউভানের বাবা সারাজীবন ইউভানকে এভাবেই ভালোবেসে যাবেন। ইউভান চুপ করে রাজের কথা শুনছে দেখে রাজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ইউভান যথেষ্ট বুদ্ধিমান। হয়তো বাবার ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে পিতৃহারা রাজের একবারের জন্য মনে হয়েছে নিজের বাবা কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তীর কথা যিনি আজীবন স্কুল শিক্ষকতা করার পর সামান্য পেনশনের টাকা কিছু না জেনে রোজভ‍্যালির ফান্ডে রেখে ঠকে গিয়েছিলেন। সেই টাকা আর ফেরত আসেনি। রাজকে পড়াতে গিয়ে স্কুলশিক্ষক কৃষ্ণশঙ্কর পূর্ণ করতে পারেননি তাঁর লাল রঙের গাড়ির স্বপ্ন। রাজ সফল ফিল্ম পরিচালক হওয়ার পর পূরণ করেছিলেন বাবার সেই স্বপ্ন, বাবাকে কিনে দিয়েছিলেন একটি লাল রঙের মারুতি গাড়ি। আজ রাজও বাবা হয়েছেন, শুধু নেই কৃষ্ণশঙ্করবাবু।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

Related Articles

Back to top button