অফবিটম্যাগাজিন

ভালোবাসার সপ্তাহের চুম্বন দিবসে জেনে নিন, বাৎস‍্যায়ন চুম্বন সম্পর্কে কি কি বলেছেন

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জী : তোমার ঠোঁট আমার ঠোঁট ছুঁলো, যদিও এ প্রথমবার নয়, চুম্বন তো আগেও বহুবার, এবার ঠোঁটে মিলেছে আশ্রয়। চুম্বন দিয়ে নানা ভাব প্রকাশের রীতি নানা পন্থায় হয়, ধর্মফেরে শ্রদ্ধা ও আনুগত্য দেখানোর জন‍্য, প্রেমের দিক দিয়ে রোমান্স ও রোমাঞ্চের জন‍্য আবার স্নেহ প্রীতির জন্য ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কখনো দেখা যায় ব‍্যাটসম‍্যান ব‍্যাটে চুমু খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে, আবার কখনো সম্মান জানাতে হাতে চুমু খাওয়ার রীতিও আছে, যার কোন নির্দিষ্ট দিনক্ষণ থাকে না।

Advertisement
Advertisement

১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর আগের দিন পালিত হয় চুম্বন দিবস হিসাবে। ভালোবাসার এক অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ চুম্বন। কিন্তু সঠিকভাবে চুমু খাওয়ার পদ্ধতি সত্যিই কি সবাই জানেন? কিন্তু এই পদ্ধতির কথা বহুকাল আগে বাৎস‍্যায়নের কামসূত্রের উল্লেখ করে গেছেন। কামসুত্রে ঠিক তিনি কিভাবে চুম্বনের কথা বলেছেন তার একটি ধারণা দেওয়া যাক। বাৎস‍্যায়নের মতে চুম্বন স্থান হল কপাল, অলক অর্থাৎ কোকড়ানো চুল, চোখ, বক্ষস্থল, ওষ্ঠ এবং ওষ্ঠের ভিতরে। তবে দক্ষিণ ভূখণ্ডের কিছু মানুষের উরুসন্ধি এবং বাহুমূলে চুম্বনের রীতি আছে।

Advertisement

এখন অল্প বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল যা পাশ্চাত্য চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তার থেকে শিক্ষা নিয়ে যেভাবে চুম্বন করে, এই শিক্ষা তার কিন্তু বহুদিন আগেই আমাদের বাৎস‍্যায়ন জানিয়ে ছিলেন। দুটি ঠোট ছুঁচোলো করে দুটি ঠোঁটের মিলনকে চুম্বন বলে। পুরুষ বলপূর্বক যে চুম্বন করেন অর্থাৎ যেখানে নারী কোনরকম চেষ্টাই করে না সেই চুম্বনকে বাৎস‍্যায়ন নাম দিয়েছেন নিমির্তক চুম্বন। নিমির্তক কথাটির অর্থ হল পরিমিত। আবার নারীর মুখে পুরুষ নিজের ওষ্ঠ টি প্রবেশ করিয়ে দিলে সেই নারী খানিকটা লজ্জা বোধকে পরিত্যাগ করে তিনিও চুম্বনে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, এই ধরনের চুম্বনকে বলা হয় স্ফুরিতক চুম্বন। এছাড়া হাত দিয়ে পুরুষের চোখ ঢেকে দিয়ে নারী নিজেও চোখ বন্ধ করে পুরুষের ঠোঁটে ঠোঁট রাখে।

Advertisement
Advertisement

এছাড়াও হাজারো বক্তব্য বাৎস‍্যায়নের কামসূত্রে বলেছেন। কিন্তু এইভাবে হিসাব করে কি আর নিজের মনের মানুষের সঙ্গে চুম্বন হতে পারে? তবে এমন নিয়ম মেনে চুম্বন করলে কিন্তু মনের মাধুরী সহ চুম্বনের প্রতি আগ্রহ ও ইচ্ছা অনেকটাই বেড়ে যায়, যেটা সুস্থ জীবন যাত্রায় খুবই প্রয়োজন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button