Krishak Bandhu Scheme: কবে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা? দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা এই নতুন প্রকল্পের কারণে বেশ লাভবান হবেন বলেই জানা যাচ্ছে
বাংলার কৃষকদের জন্য এবারে বড় ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে রেকর্ড অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই ঘোষণার পরে উপকৃত হবেন কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২৪-২৫ রবি মরশুমের জন্য নতুন প্রকল্পে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষকের জন্য মোট ২৯৪৩ কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল এই টাকা কৃষকদের একাউন্টে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরে শুধুমাত্র কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পে বাংলার কৃষকদের ৫ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকার সহায়তা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ২০১৯ সাল থেকে এই বাংলার কৃষক বর্গাদার ভাগচাষীদের ২১১৩৪ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই পুরো টাকা পুরোপুরি ভাবে রাজ্যের টাকা, কেন্দ্রীয় সরকার এর মধ্যে ১ টাকা সাহায্যও করে না। পাশাপাশি বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, শস্য বীমা প্রকল্পে ১ কোটি ২ লক্ষ কৃষককে আরও ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা সহায়তা করা হবে সরকারের তরফ থেকে। বন্যা এবং দানার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাংলার শস্য বীমা করার সময় নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৫ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের নাম লিখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার আলু ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই আলুর দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের রাজ্যের মানুষ খেয়ে যদি তারপর থাকে তাহলে বিক্রি করো।’ তাঁর কথায়, ‘বাংলার আলু বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার আলুর দাম বাড়িয়ে মুনাফা বৃদ্ধি চলবে না।’ রাজ্যে কৃষিজীবীদের শস্য বিমা দেয় সরকার। সেই বিষয়টি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা, সরকার বিমা দেব, কিন্তু তারপর আলু ভিন রাজ্যে বিক্রি হয়ে যাবে… এটা হতে দেওয়া যাবে না।’