নিউজরাজ্য

কেন্দ্রের বিকল্প কৃষি আইন এখনই আসছে না, ঘোষণা নবান্ন সূত্রে

Advertisement
Advertisement

কেন্দ্রের কৃষি আইনের পরবর্তীতে সারা দেশে মূল্যবৃদ্ধি চরমে। প্রায় সব জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাংলার অর্থনীতিতেও। সারা বাংলাতে এই কৃষি আইনের বিরোধিতা করতে মাঠে নেমে পড়েছেন। গোটা দেশেই এই আইনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন মিছিল হয়েছে। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ এই বিলের প্রতিলিপি ছিড়ে দেন। তা নিয়েও বিতর্ক চরমে ওঠে। তবে, নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই বিলের কোনো বিকল্প বিল আনছে না রাজ্য।

Advertisement
Advertisement

কৃষি দপ্তরের উপর মহলের ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের কৃষকরা স্বাধীনতার পর থেকেই মান্ডিতে বিক্রিতে বাধ্য ছিলেন না। কিন্তু এবার নতুন আইনে শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এতদিন অবধি চাষীদের বাধ্যবাধকতা ছিল না কমিশন এজেন্টের কাছে ফসল বিক্রির। তবে, এবারে নতুন আইনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্দিষ্ট হলে চাষীদের ৩০% দাম পেতে পারেন।

Advertisement

কৃষি কর্তাদের যুক্তি, রাজ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৪২ লক্ষ্য চাষী ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছেন। সরকারি দামে ধান বিক্রি করেন মাত্র এরমধ্যে ১২ লক্ষ্য চাষী। বছরে ১৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হলেও সরকার এর মধ্যে ধান কিনে মাত্র ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর ফলে, অন্য রাজ্যে যতটা ধান উৎপাদিত হয় সেই রাজ্যে যতটা ধানের সহায়ক মূল্য, সেরকম এই রাজ্যে নেই।

Advertisement
Advertisement

সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর। তবে, প্রয়োজন মনে হলে রাজ্য কিছুটা ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। এই রাজ্যের রাজ্য সরকার বেশ কয়েকবার আলু কিনেছে। তবে রাজ্যের কৃষি এবং কৃষি বিপনন দপ্তর মনে করছে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এর প্রধান দুটি উপাদান এর প্রাসঙ্গিকতা এই রাজ্যে নেই।

২০১৪ সালে পরপর দুটি সংশোধনী এনে কৃষি বিপনন দপ্তর এগুলোর সংশোধনী আগেই এই রাজ্যে দিয়ে রেখেছে। তাই বর্তমানে আইন প্রয়োজন না হলেও, যদি পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী চান তাহলে একটা আইন করা যেতে পারে বলে তাদের মতামত। তবে এই আইন কংগ্রেস অথবা অন্য অবিজেপি সরকারের কৃষি আইন এর থেকে অনেক আলাদা হবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button