দক্ষিণবঙ্গে ফের ঘনিয়ে আসছে বর্ষার মেঘ। বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে রাজ্যের একাধিক জেলায় আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই মুহূর্তে গাঙ্গেয় বঙ্গ এবং বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিরাজ করছে। সেই সিস্টেমের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে রবিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার থেকে বুধবারের মধ্যে কলকাতায় ৩৫ মিমি-র বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার রাতেই শহরে ১২.২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowগত কয়েক দিন ধরে কলকাতার তাপমাত্রাও বেশ কম। সর্বোচ্চ ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫.৭ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে তাপমাত্রা। এর ফলে দিনের তাপমাত্রা এবং রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ২ ডিগ্রি, যা এই সময়ের জন্য অস্বাভাবিক।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তবে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু অঞ্চলে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সময়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাঠকদের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:
এই বৃষ্টি কত দিন চলবে?
➡️ শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে, রবিবার থেকে বাড়বে তীব্রতা।
কোন কোন জেলায় বেশি প্রভাব পড়বে?
➡️ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কলকাতার আবহাওয়া কেমন থাকবে?
➡️ শহরে আকাশ মেঘলা থাকবে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম।
মৎস্যজীবীদের কী সতর্কতা মানতে হবে?
➡️ উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া চলার সম্ভাবনার জন্য আপাতত সমুদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত সাধারণ মানুষের?
➡️ বৃষ্টির সময় জল জমার সম্ভাবনা থাকায় চলাচলের পরিকল্পনা আগে থেকে করা এবং আবহাওয়ার আপডেট নজরে রাখা জরুরি।
এই প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের চাষবাসে কিছুটা স্বস্তি আনলেও, ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনের সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও বদলাতে পারে বলেই আশঙ্কা।