অফবিট

‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রেখে রাস্তায় বসে তরমুজ খাচ্ছে বাঁদরের দল, ভাইরাল ছবি

×
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – প্রশাসনিক তরফ থেকে প্রত্যেককে বলা হচ্ছে বাড়িতে থাকতে এবং রাস্তায় বেরোলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। দোকানের সামনে গোল গোল করে দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য। এত বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকেও বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব কিভাবে বজায় রাখতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি ছবিতে দেখা গেছে বাঁদরের দল নিজেদের মধ্যে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে বসে বসে তরমুজ খাচ্ছে।

Advertisements
Advertisement

অনেক এলাকাতেই মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। তার জন্য পুলিশকেও যথেষ্ট কড়া ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। কখনো যমরাজ সেজে রাস্তায় নেমে মানুষকে উচিত শিক্ষা দিতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে চেষ্টা করছে না এগুলি সাধারণ ছুটির দিন নয়, যে বাড়িতে থাকতে ভালো লাগছেনা বলে একটু বেড়িয়ে আসা যায়। করোনা ভাইরাসের একমাত্র ওষুধ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অর্থাৎ লকডাউন মেনে নেওয়া। MLA কিরেন রিজিযু এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। অরুণাচল প্রদেশের একটি হাইওয়েতে নিজেদের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসে বসে খোশ মেজাজে তরমুজ খাচ্ছে বাঁদরের দল। ছবিটি হয়তো হঠাৎ করেই ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা, কিন্তু এই ছবিটির পিছনে গভীর শিক্ষা রয়েছে। পশুর দল বুঝিয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস এর মতন মহামারি থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব প্রয়োজন।

Advertisements

এবার বোধ হয় সচেতন হওয়ার সময় এসেছে মানুষের। ভারতবর্ষের সব জায়গার মানুষ কতটা সচেতন হয়েছে এ বিষয়ে সত্যিই মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত বোঝাই যাচ্ছে সচেতনতা এখনো মানুষের মধ্যে জাগেনি। কিন্তু প্রশ্ন আর কবে জাগবে? ইতালি প্রথমে লকডাউন মেনে নেয়নি, যার ফল সে ভুগছে। ভারতীয় আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কম নয়। সচেতনতা বৃদ্ধি হবে নিজের ভেতর থেকে। পুলিশকে ভয় দেখিয়ে জোর করে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে কেন রাখতে হবে? কিন্তু তাও মানুষ বুঝতে চাইছে না।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button