দেশনিউজ

করোনা পরীক্ষা করার জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন ধরা পড়েছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনার প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের শরীরে। যদিও এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে না কমেছে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গুন দ্বিগুণ হয়েছে বলেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে লন্ডনবাসী। ভারত সহ একাধিক দেশ থেকে বিমান ওঠানামা কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সরাসরি ব্রিটেন থেকে কোনও যাত্রীর আসা নিষিদ্ধ করা হলেও কোনও যাত্রী যদি অন্য দেশ হয়ে ঘুরে আসে, সেক্ষেত্রে তাকে বাধা দেওয়ার কোনও পথ খোলা নেই দিল্লির কাছে। তবে তাকে করোনা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। আর এর জেরেই ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
Advertisement

যেমন দিল্লি বিমানবন্দরে সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে আসা বিভিন্ন যাত্রীদের কোভিড রিপোর্ট হাতে পেতেই আট ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গিয়েছে৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁদের বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভিড রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য৷। এর ফলে দীর্ঘ পথ যাত্রা করার পর শুধুমাত্র করোনা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কারণের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। শারীরিক দিক থেকে ক্লান্তি অনুভব করেছে ব্রিটেনফেরত যাত্রীরা। কিন্তু সেই ক্লান্তিকে কার্যত উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে লন্ডন ফেরত যাত্রীদের।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেন থেকে আসা কোনও যাত্রী করোনার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরের বাইরে যেতে পারবে না। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া বেশ সময় সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। প্রায় আধ ঘন্টা লাগছে রিপোর্ট হাতে তুলে দিতে। আর তাতেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ব্রিটেন থেকে বিমান ওঠা নামার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তার আগে প্রায় 500 জন ব্রিটেন ফেরত যাত্রী এ দেশে এসে পৌঁছেছে। আর তাদের করোনা পরীক্ষা করতে গিয়েই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button