আন্তর্জাতিকদেশপলিটিক্স

Tripura Vote TMC: ত্রিপুরার পুরভোটের লক্ষ্যে আজ ইস্তেহার প্রকাশ ঘাসফুল শিবিরের

Advertisement
Advertisement

ত্রিপুরায় মঙ্গলবার নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা পুরভোটের ঠিক ৯দিন আগে এই ইস্তেহার প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে সরাসরি জনসংযোগ, ক্রীড়া, নিকাশি, পানীয় জল ও নারী নিরাপত্তার ওপর।

Advertisement
Advertisement

মাসের শেষে ত্রিপুরায় এই পুরনির্বাচন স্থানীয় স্তরে সীমাবদ্ধ হলেও আসলে দেখতে গেলে আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই কোমর বেঁধে পুরোদমে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের তরফ থেকে ঠিক সহয়েছে আগামী দিনে ত্রিপুরা পুরবোর্ড দখলে আসলে যিনি চেয়ারম্যান বা মেয়র হবেন তিনি সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন সকল বাসিন্দাদের সঙ্গে।

Advertisement

অনেকটা দেখতে গেলে দিদিকে বলো বা টক টু মেয়র ধাঁচে সরাসরি নাগরিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি জনসাধারণে প্রয়োজনীয় সাহায্য চাইলে তা দেওয়া হ্নে৷ এর ফলে কোনো ভায়া বা কোনও মাধ্যম হয়ে নয়৷ বরং জনগণের সুবিধা-অসুবিধা সরাসরি বুঝতে পারবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব পুরোভোটের কিছুদিন আগেই চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে বলো। যা নিয়ে তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে এই নিয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করা হয়েছে৷ 

Advertisement
Advertisement

এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস জোর দেবে এই রাজ্যের খেলাধূলার দিকেও। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পার্ক চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে তৃণমূলের তরফ থেলে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে৷ রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে, বাংলার এবছর বিধানসভা ভোটে খেলা হবে স্লোগানকে সামনে রেখেই প্রচার করেছিল তৃণমূল। এবার ত্রিপুরার পুরোভোটের সেই প্রচারে অঙ্গ হিসাবেই ক্রীড়া ক্ষেত্রকে জোর দেবে ঘাস ফুল শিবির। অন্যদিকে বেহাল অবস্থা রাস্তা, দুর্ভোগে আগরতলাবাসী! এই ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু কএছে তৃণমূল। এই মুহূর্তে আগরতলার বেশিরভাগ রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা, যা পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বহুলাংশে বাড়িয়ে তুলেছে।

রাস্তার বেহাল দশায় বহু জনসাধারণের চলাফেরা হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ আর প্রাণদায়ী। আগরতলা পুরনিগমের এই চরম ব্যর্থতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট অভিযোগ জোড়া ফুল শিবিরের। আজ দুপুর একটা নাগাদ প্রকাশ হবে তৃণমূলের ইস্তেহার। থাকবেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক জুন মালিয়া, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, নেত্রী অর্পিতা ঘোষ, ত্রিপুরা স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক।

Advertisement

Related Articles

Back to top button